কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১১:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

ফের বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দাম ২ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে)এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করে সরকার।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৭ টাকা থেকে এক পয়সা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৭ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য ০১ জুন থেকে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপী বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫.৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপী বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩.৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভারতের থেকে বাংলাদেশে লিটার প্রতি জ্বারানি তেলের দাম যথাক্রমে প্রায় ১৭.৯৫ টাকা ও ১৬.৯৬ টাকা বেশি।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে ৩০ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার গুদামে আগুন

সপ্তাহে দুদিন ছুটিসহ নিয়োগ দিচ্ছে পপুলার

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

সার্ভিস এক্সপার্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছে ওয়ালটন

আড়ং-এ বড় নিয়োগ, এইচএসসি পাসেই পার্টটাইম চাকরির সুযোগ

২৬ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

স্টিমরোলার নির্যাতনেও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি : মির্জা ফখরুল

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২৬ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

কড়াইল বস্তির আগুনে দেড় হাজার ঘর পুড়েছে : ফায়ার সার্ভিস

১১

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

১২

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

১৩

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

১৪

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

১৫

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

১৬

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

১৭

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

১৮

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

১৯

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

২০
X