রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রেলপথ থেকে সরে যাওয়ায় বিকেল ৫টা ২০ মিনেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যায়, যা দুপুর সোয়া ১টায় ছাড়ার কথা ছিল।
এর আগে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর কাওরানবাজার ও মহাখালী আমতলী রেললাইন অবরোধ করে। এর ফলে ঢাকা থেকে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হয়। সকালে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর, ফার্মগেট, আগারগাঁও ও মহাখালীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্লক করে দেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাওরানবাজার রেলগেট ও মহাখালী রেলক্রসিংয়ে কাঠের গুঁড়ি ফেলে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা থাকবে বলে রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে এই রায়কে ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তারা বলছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) কোটা রেখে নির্বাহী বিভাগ থেকে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল না করার আগ পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানছি না। আমাদের এক দফা দাবি- সংসদে আইন পাস করে সরকরি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। এই দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
মন্তব্য করুন