রাজধানীর তুরাগের একটি বাসা থেকে ফাতেমা আক্তার (৩৩) নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ শেষে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তুরাগ থানার ওসি মো. মওদুত হাওলাদার এসব তথ্য জানান।
নিহত ওই নারী রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা পশ্চিম পাড়ার মো. মুক্ত মিয়ার মেয়ে। তুরাগের বাউনিয়া পশ্চিম মইশাগার এলাকার হায়দারের বাসাটিতে তিনি একাই ভাড়া থাকতেন। তবে তার দ্বিতীয় স্বামী পরিচয়ে ইসমাইল হোসেন আজাদ নামে এক ব্যক্তি যাওয়া-আসা করতেন।
ওসি জানান, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা দরজার নিচ থেকে রক্ত রুমের বাইরে আসতে দেখে রুমে উঁকি দেয়। পরে রুমের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির কেয়ারটেকার মো. আলাল দেওয়ানকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, দুই মাস আগে বাসাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন ফাতেমা ও আজাদ। আজাদ নিয়মিত থাকতেন না। তবে আসা-যাওয়া করতেন। যার কারণে অনেকেই ফাতেমার কথিত স্বামী আজাদকে ভালো করে চেনেনও না। তার কোনো সন্তানও ছিল না।
ওসি বলেন, নিহত নারীর মাথায় গুরুতর একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুক ঝলসানো ছিল। লাশটি অনাবৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। নিহতের আত্মীয়স্বজনকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তার আসলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনো না কোনো ক্লু বেরিয়ে আসবে। ওই বাসাটিতে দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে ফাতেমা ভাড়া থাকতেন বলে জানতে পেরেছি। তবে তাকে আমরা পাইনি। বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন