ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে নিজস্ব অর্থায়নে মশককর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
দুই দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষণে কীটনাশকের সঠিক মাত্রা, প্রয়োগ পদ্ধতি, সময় ও স্থান নির্ধারণ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করে ধ্বংস করার কৌশল শেখানো হয়। মশককর্মী প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের কার্যক্রম বুধবার (১৮ জুন) শেষ হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, মশক সুপারভাইজার ও মশককর্মীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে, যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে চার ব্যাচে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে মোট এক হাজার ১০০ জন মশক সুপারভাইজার ও মশককর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইমরুল কায়েস।
এই প্রশিক্ষণ নগর ভবন (গুলশান-২), উত্তরা কমিউনিটি সেন্টার, মহাখালী কমিউনিটি সেন্টার এবং সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিডিসির জাতীয় প্রশিক্ষকসহ অন্য প্রশিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করেন।
ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ডেঙ্গু রোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই প্রশিক্ষণে ১১২ জন ফিজিশিয়ান ও ৩৮ জন নার্সসহ মোট ১৫০ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় প্রশিক্ষকেরা এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন