কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের চেয়েও মুসলিমদের বড় শত্রু’

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে ড. আ ম ম আরিফ বিল্লাহ। ছবি : কালবেলা
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে ড. আ ম ম আরিফ বিল্লাহ। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও ইসলামিক স্কলার অধ্যাপক ড. আ ম ম আরিফ বিল্লাহ বলেছেন, আজকের সব আরব দেশ মূলত আরেকটা ইসরায়েল। মুসলমানদের জন্য আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের চেয়েও বড় শত্রু। সৌদি আরব, আমিরাত, কাতার এরাই আজকে আমাদের বড় শত্রু। এরা যদি আজকে মুসলিমদের পক্ষে থাকত, ঐক্যবদ্ধ থাকত তাহলে আমেরিকার এত সাহস হতো না ইরানের উপর আক্রমণ করার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমেরিকার পুতুল হিসেবে ব্যবহার হওয়ার জন্য আমরা নিন্দা জানাই।

শুক্রবার (২০ জুন) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জুমার নামাজ শেষে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিন ও ইরানে বর্বর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এসব কথা বলেন তিনি। ইসলামি ঐক্য ও মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণ পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এ সময় ইসলামী ঐক্য ও মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণ পরিষদ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ম ম আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমেরিকার সহযোগিতায় ইসরায়েল বারবার ফিলিস্তিনের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, আজকে আবার ইরানের উপর হামলা করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মুসলিম বিশ্ব আজ নীরব। এরদোয়ান, সালমানসহ মুসলিম বিশ্বের নেতারা আজ নীরব। আরব দেশগুলো আমেরিকার গোলামিকে বরণ করে নিয়েছে। ইসরায়েলের যুদ্ধ মূলত ইরানের সঙ্গে নয়। এই যুদ্ধ আমেরিকার সাথে ইরানের যুদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল হচ্ছে আমেরিকার একটি সামরিক ঘাঁটি, আমেরিকার অবৈধ সন্তান। এখান থেকে তারা বছরের পর বছর ধরে মুসলমানদের হত্যা করে আসছে। আর আরব দেশের শাসকরা এদের বিমান উপহার দিচ্ছে, তেল উপহার দিচ্ছে, তাদের তোষামোদি করছে। হজের সময় যে ট্রিলিয়ন ডলার সৌদি আরব আয় করে সে টাকা দিয়ে আমেরিকা অস্ত্র কিনছে এবং সেই অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইদের উপর হামলা করছে। কাজেই আমাদের আর বসে থাকলে হবে না। সমগ্র মুসলিম বিশ্ব থেকে আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে আমেরিকাকে সহায়তাকারী এই আরব রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করতে হবে।

ভারতকে উদ্দেশ করে ড. আ ম ম আরিফ বিল্লাহ বলেন, এশিয়া মহাদেশে ভারত ইসরায়েলের একমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইরানে যে ৭৩ জন মোসাদের এজেন্ট পাওয়া গেছে তাদের বেশিরভাগই ভারতীয়। এরাই ইসরায়েলকে তথ্য দিয়েছে, সহযোগিতা করেছে। এই ভারতই হচ্ছে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ইসরায়েল। ভারত যতদিন দ্বিখণ্ডিত না হবে ততদিন তারা ইসরায়েলি অ্যাজেন্ডা পালন করবে। তাদের আলাদা করে ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ থেমে গেলেও ভারতের সাথে আমাদের যুদ্ধ থেমে যাবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সমাধান জানালেন পুতিন

বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল গ্রেপ্তার, শিক্ষক-সাংবাদিকদের উদ্বেগ

জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধের রাজনীতি করে না : বুলবুল

ঢাকার ডিএনসিসিতে শুরু হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট 

অবশেষে ঢাকার জেলা জজ বদলি

আমেরিকার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইসরায়েল

সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াল ইউরোপের ৯ দেশ

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে অলআউট করে ম্যাচ জিততে চায় লঙ্কানরা

এবার স্থানীয় নির্বাচনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

১০

ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন খামেনি

১১

খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১২

গলে পাঁচ উইকেট শিকারের দিনে আত্মবিশ্বাসী নাঈম, জয়ের আশায় বাংলাদেশ

১৩

বাসের ধাক্কায় মাহিন্দ্রার ৬ যাত্রী নিহত

১৪

যুক্তরাষ্ট্রে ভোট জালিয়াতির ঘটনায় দুই বাংলাদেশির কারাদণ্ড

১৫

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স রোববার

১৬

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার আটক

১৭

কালবেলায় সংবাদের পর ভুল সংশোধন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের

১৮

ইরানের বিরুদ্ধে নতুনভাবে হামলা শুরু ইসরায়েলের

১৯

হলুদ শাড়ি, স্লিভলেস ব্লাউজ, খোলা চুলে ভাইরাল মিথিলা

২০
X