রাজধানীর পল্টন মোড়ে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ নাসির উল আমিন।
তিনি বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তবে বিস্ফোরণগুলো খুব শক্তিশালী ছিল না। বাজির মতো শব্দ হয়েছে, তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা নেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে বড় ধরনের আলামতও পাওয়া যায়নি।
কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তাদের ধারণা, কেউ দূর থেকে ককটেলগুলো ফাটিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর গুলিস্তানের মোবাইল মার্কেট থেকে চাঁদাবাজ চক্রের ৮ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে সেনাবাহিনী। রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ১১ বীরের (মেক) একটি দল বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন- ভোলা জেলার মো. জাকির হোসেন, কুমিল্লার শাকিল এবং বাকি মো. নবীর, মো. জসীম, মো. আব্দুল জলীল, মো. সুরুজ, মো. মাসুদ, মো. রকিব খান মুন্সীগঞ্জ জেলার।
সেনাবাহিনীর সূত্র জানায়, বিগত কয়েকদিন থেকে গুলিস্তান এলাকায় চাঁদাবাজির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ গুলিস্তান ক্যাম্পে লিপিবদ্ধ করে ভুক্তভোগীরা। চাঁদাবাজ চক্রটিকে ধরার জন্য অত্র ক্যাম্পের এফএস বেশ কয়েকদিন থেকে নজর রাখছিল সেনাবাহিনী।
এফএসের তথ্যানুযায়ী, গুলিস্তান মোবাইল মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১১ বীরের একটি টহল দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে ৭ চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আটকদের দেহ তল্লাশি করে একাধিক অবৈধ মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ছোটাছুটি করার একপর্যায়ে তারা বেশ কয়েকটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিল। যা পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১১ বীর কর্তৃক দ্রুত ও সুসমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আটক ও হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। পরে আটকদের এবং জব্দ করা মালামাল পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন