রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে মগবাজারের ইস্কাটন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিউমার্কেট থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গত ১০ মার্চ ভোরে নিউমার্কেট থানার নিউ এলিফ্যান্ট রোডে রহমান অ্যান্ড কোং ফিলিং স্টেশনের উল্টো দিকের ফুটপাথে মাথায় রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত অজ্ঞাত পরিচয় একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম মামুন ওরফে কাটা মামুন ওরফে ব্লেড মামুন। গত তিন বছর ধরে মামুন এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ভাসমান হিসেবে বসবাস করছে। আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোনো আত্মীয়স্বজন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওইদিন নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই (নিরস্ত্র) পাভেল আহমেদকে।
ওসি জানান, ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশের পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঘটনার দিন ভোর ৫টা ১৯ মিনিটের সময় এক ব্যক্তি বাটা ক্রসিং হতে কাঁটাবন ক্রসিংয়ের দিকে হেঁটে গিয়ে ভিকটিমকে একটি ভারী বস্তু দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে পুনরায় বাটা ক্রসিংয়ের দিকে দ্রুত হেঁটে যায় এবং রিকশাযোগে হাতিরপুলের দিকে চলে যায়। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘাতক মো. হোসেনকে শনাক্ত করে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাভেল আহমেদ জানান, আসামি হোসেন এবং ভিকটিম মামুন পূর্ব পরিচিত। হোসেন তার চলাফেরার সুবিধার জন্য একটি লাঠি ব্যবহার করতেন। একদিন মামুন সেই লাঠি নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। হোসেন বারবার মামুনের কাছে লাঠিটি ফেরত চাইলেও তা পায়নি। এ থেকে হোসেন মনে মনে মামুনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। সেই আক্রোশ থেকেই রোববার ভোরে হোসেন মামুনকে হত্যা করে।
তিনি বলেন, আসামি মো. হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন