চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে এ আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা মাধ্যমে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন কমিশন থেকে নিবিড় মনিটরিং করা হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকেও মনিটরিং হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। আশা করছি, শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী।
এরা হলেন নৌকা প্রতীকে মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সামসুল আলম, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশিদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রকেট প্রতীকে মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বেলুন প্রতীকে মো. আরমান আলী।
গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের মতো এবারের চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তবে নগরের লালখান বাজার এলাকায় নৌকা প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও বিএনপি কার্যালয়ে পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে ‘উত্তাপ’ ছড়াতে শুরু করে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপি ভোটের মাঠে না থাকায় আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে জাতীয় পার্টির সামসুল আলমের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
এর আগে গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ায় ৩০ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন