ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে জেলা পুলিশ। জব্দকৃত অস্ত্রগুলো বিভিন্ন অংশে মাইক্রোবাসে কৌশলে সংরক্ষিত ছিল। এসময় মো. মনির ও হোসেন নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন চালক ও অপরজন সহযোগী।
শুক্রবার (২ মে) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড থানাধীন বাঁশবাড়িয়া বাজারে মোকছেদ আলী শাওনের ফার্নিচার দোকানের সামনের চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করে জেলা পুলিশ।
এসময় কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস থেকে অস্ত্রের চালানটি জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্রগুলো নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ।
অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৬টি ওয়ান শ্যুটার গান, ১টি দেশীয় তৈরি রাইফেল ও ১টি একনলা বন্দুক।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাসেল কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা পুলিশ জানায়, প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশির পর মাইক্রোবাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্রগুলোর বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক দুজন প্রথমে অস্ত্রের চালানের কথা অস্বীকার করেন। পরে মাইক্রোবাসের ব্যাক ডালা থেকে অস্ত্রের পেছনের অংশ মিললে দফায় দফায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে বাকী অস্ত্রগুলোর কথা স্বীকার করেন তারা। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাসেল বলেন, তল্লাশিকালীন সময়ে মাইক্রোবাসটি সিগন্যাল দিলে চালক অন্যদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে ধাওয়া করে আটকানো হয়েছে। আমাদের কাছে খবর ছিল ওই মাইক্রোবাসটিতে অস্ত্রের চালান রয়েছে। তারা কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে অস্ত্রগুলো নিয়ে নোয়াখালীর দিকে রওয়ানা হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গাড়িটি তল্লাশির সময় প্রথমে আমরা অস্ত্র পাইনি। কারণ অস্ত্রগুলো বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে কৌশলে গাড়ির ভেতর লুকায়িত ছিল। পাইপগুলো ছিল গাড়ির সিটের পাইপের সঙ্গে লাগানো। পেছনের অংশগুলো ছিল দরজার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাভারের ভেতর। মাইক্রোবাসের পেছনের ব্যাক ডালায় সম্পৃক্ত কভার খুলে প্রথমে অস্ত্রের পেছনের অংশ পাই। পারে আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যে বাকী অস্ত্রগুলো উদ্ধারপূর্বক জব্দ করতে সক্ষম হই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাসেল আরও বলেন, এ সংক্রান্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি থানা হেফাজতে রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশ চট্টগ্রাম জেলায় আমরা চেকপোস্ট পরিচালনা করছি। জনস্বার্থে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন