চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার পর ১১ টুকরো করার ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে র্যাবের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (১২ জুলাই) তাকে বায়েজিদ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন ওসি মো. কামরুজ্জামান।
গ্রেপ্তার সুমন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করেন সুমন। হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে রাখেন। কিছু অংশ বাথরুমের কমোডে ফ্ল্যাশ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
র্যাব আরও জানায়, ১০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন সৌদি আরবে যান। গত বছর দেশে ফিরে চট্টগ্রামে একটি পিকআপভ্যান চালাতে শুরু করেন। তবে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। একাধিকবার পারিবারিকভাবে সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা স্থায়ী হয়নি। ঘটনার দিন রাতে ৬-৭ জন অচেনা যুবক তাদের বাসায় আসে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমন উত্তেজিত হয়ে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ আবিদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারের পর সুমন আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিন ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন। প্রথমে বলেছেন, ফাতেমা ফাঁসি নিয়েছিলেন। এরপর তিনি কাটাছেঁড়া করেন। পরে বলেছেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে মারা গেছেন। আবার বলছেন, তিনিই কাটাছেঁড়া করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মূল রহস্য উদ্ঘাটনে আমরা আবার ঘটনাস্থলে যাব। যতগুলো সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বাসায় অচেনা একদল যুবকের আসার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, যুবকদের যাওয়া-আসার কথা সুমনও বলেছেন। আমরা সব বিষয়ে তদন্ত করছি।
মন্তব্য করুন