ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মিরসরাই অংশে একটি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেন চালকের সহকারী (লোকোমাস্টার) এসএম জাহিদ নামের একজন আহত হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত এসএম জাহিদ বলেন, গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামমুখী নাসিরবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলাম। রাত ৯টার সময় মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া এলাকায় পৌঁছালে ১৭ থেকে ১৯ বছর বয়সী দুই তরুণ ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। এসময় জানালার কাচ ভেঙে আমার চোখের উপরে পড়ে। পাথরটি তার শরীরেও লাগে। দ্বিতীয়বারের মতো তিনি চলন্ত ট্রেনে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসএম জাহিদ লেখেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ রেলওয়ে ইচ্ছা করেই আমাদের চলন্ত ট্রেনে পাথর খাওয়ানোর জন্য মাঠে নামাইছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ২৭০১ এর সামনের দিকের লুক আউট গ্লাসের সেফটি নেট নেই, সেফটি নেট থাকলে আজ এমনটি হতো না। চোখে কাচের টুকরো প্রবেশ করেছে, অল্পের জন্য চোখটা হারাইনি এখনো। বারবার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। চলছে তো ট্রেন,আমরা চালাচ্ছি, নির্ঘুম থাকছি, পাথর খাচ্ছি, ট্রেন রাইট টাইম করছি। প্রশাসনের কোন দায়বদ্ধতাও নেই, থাকবে কেন? মাঠ পর্যায়ে তো থাকি আমরা, রেলের চাকা সচল রাখি। পাথর খেলে আমরা খাই। তাদের তো টনক না নড়ারই কথা। আর বাঙ্গালি তোরা মৃত্যু ছাড়া সোজা হবি না। আল্লাহ তোদের উত্তম প্রতিদান দিক। দ্বিতীয় যাত্রায়ও বেঁচে গেলাম অল্পের উপর দিয়ে।
যোগাযোগ করা হলে সীতাকুন্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমজাদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার প্রায় ৩০ মিনিট পর বিষয়টি জেনেছি। চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ায় ট্রেন চালকের সহকারী আহতের ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এবং এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন