স্বপ্নের শহর ঢাকায় বসবাস করছে দুই কোটিরও বেশি মানুষ। জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত ছুটে চলা এসব মানুষের অনেকেই রাজধানীতে স্থায়ী আবাসনের স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নপূরণের পথ আরও কিছুটা সহজ করতে শুরু হয়েছে ‘স্বদেশ বৈশাখী আবাসন মেলা-১৪৩২’।
রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত তাহের টাওয়ারের অষ্টম তলায় স্বদেশ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে শনিবার (৩ মে) থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। যা চলবে টানা আট দিন। আগামী ১০ মে পর্যন্ত এই মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।
মেলায় থাকছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন স্বর্ণালী ও সানভ্যালী আবাসিক প্রকল্পের রাজউক অনুমোদিত আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট। প্রকল্প দুটি পরিচালনা করছে স্বদেশ প্রোপার্টিজ লিমিটেড। ইতোমধ্যে ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তুত এসব প্লট এককালীন মূল্য পরিশোধে বিশেষ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতেও প্লট ও অ্যাপার্টমেন্ট বুকিংয়ের সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যেই প্রায় ৩২০০ এবং ২০০০ বিঘা জমি নিয়ে পরিকল্পিত ও নান্দনিক আধুনিক সুবিধাসহ গড়ে উঠছে এই আবাসন প্রকল্প ২টি। গুলশান বনানী থেকে মাত্র ১০ মিনিটের পথ। যেখানে বাংলাদেশের প্রথম পরিবেশ বান্ধব আধুনিক সিটি হিসেবে গড়ে উঠছে সানভ্যালি আবাসন প্রকল্প। ৬ লেনের মাদানী এভিনিউ এর মতো অসাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠছে আবাসন প্রকল্পটি। প্রকল্পটির সংযোগ রয়েছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের সাথেও।
সানভ্যালি আবাসন প্রকল্পের পাশেই রয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং স্যারজন উইলসন স্কুল।
বৈশাখী আবাসন মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বদেশ প্রোপার্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডএমএ. কাইয়ুম বলেন, রাজউক অনুমদিত ও বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে আধুনিক ও দক্ষ আর্কিটেকচার এবং প্রকৌশলী দ্বারা স্বর্ণালী ও সানভ্যালী আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বর্ণালী আবাসন প্লটে ৯৫ শতাংশ ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে পারছি আমরা। আমরা আগামী দিনে স্বদেশ প্রকল্পকে আরও সুপরিকল্পিত ও সুন্দর আবাসন প্রকল্প হিসেবে গড়ে তুলবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ প্রোপার্টিজের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী, ভূমি উন্নয়ন পরিচালক নাভিদ তানভিন অনন্ত, পরিচালক মো. রিয়াসাদ উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক (সার্বিক) অব. কর্নেল এম রকিবুল হক এবং বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. ইশফাক হোসেন প্রমুখ। বৈশাখী আবাসন মেলায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল স্বদেশ প্রতিদিন।
আয়োজকেরা জানান, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ঢাকা শহরে সুপরিকল্পিত আবাসনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণালী ও সানভ্যালী প্রকল্পে আধুনিক নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন আবাসনের সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকেরা।
মেলা সম্পর্কে যে কোনো তথ্যের জন্য ০১৪০৪ ৪৯৯ ৭৮৬ নম্বরে ফোন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন স্বদেশ প্রোপার্টিজের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট-এ।
উল্লেখ্য, আঠারো বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান আবাসনশিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে সানভ্যালি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যেই প্রায় ৩২০০ বিঘা জমি নিয়ে পরিকল্পিত ও নান্দনিক হিসেবে গড়ে উঠসে সানভ্যালি আবাসন প্রকল্পটি। প্রকল্পের নান্দনিক ৮০ ফিট সড়কের সাথে রয়েছে গ্লিনরিচ ইন্টারন্যাশনালস্কুল। হর্সরাইডিং স্কুল এবং প্রস্তাবিত অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মোনাস ইউনিভার্সিটি। মনোরম পরিবেশের সাথে প্রকল্পের দুই পাশেই রাখা হয়েছে ১০০ফিটও ১৩০ ফিটলেক। যা প্রকল্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রদান করবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসবাসের সুযোগ।
আফতাবনগর এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সানভ্যালি আবাসন প্রকল্পের একদম সন্নিকটে। আফতাবনগরের সঙ্গে সানভ্যালি আবাসন প্রকল্পের সংযোগে নির্মাণ হচ্ছে ১৩০ ফিটের একটি নান্দনিক সড়কপথ। এই প্রকল্পের ডি ব্লকে রয়েছে আসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আসুন্নাহ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনিস্টিউট। ডি এক্সটেনশন ব্লকে আরও হয়েছে ন্যাশনাল আইডিয়েল স্কুলের পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত স্থান। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৬০ ভাগ জমি ক্রেতারা বুঝে পেয়েছেন। যেখানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও সানভ্যালি তাদের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মাণ করছে স্বদেশ ভিউ পয়েন্ট নামের ৯তলা বিশিষ্ট এপার্টমেন্ট। এই প্রকল্পে ঈদগাহ মাঠসহ সব নিয়ে তিনটি খেলার মাঠ রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলার আয়োজন ছাড়াও করপোরেট ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রকল্পের সি ব্লকে শুরু হয়েছে আসুন্নাহ ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্স অ্যান্ড ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের নির্মাণ কাজ। এছাড়াও এই প্রকল্পে নির্মাণ হবে স্কলারস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। দেশি-বিদেশি এমন সনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রকল্পকে করে তুলেছে সবার কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয়।
মন্তব্য করুন