স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

না ফেরার দেশে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক

বব সিম্পসন। ছবি : সংগৃহীত
বব সিম্পসন। ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান রাখা সাবেক অধিনায়ক ও প্রথম পূর্ণকালীন প্রধান কোচ বব সিম্পসন আর নেই। সিডনিতে ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে এই কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর।

সিম্পসন শুধুমাত্র অসাধারণ একজন ব্যাটারই ছিলেন না, বরং ছিলেন দলগঠনের অন্যতম কারিগর। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬২টি টেস্ট খেলেছেন, যেখানে ৪৬.৮১ গড়ে রান করেছেন এবং ৭১টি উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনে। সেই সময়ের সেরা স্লিপ ফিল্ডারদের একজন হিসেবেও খ্যাতি ছিল তার।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক; ক্যারিয়ারে ২১ হাজারের বেশি রান ও ৩৪৯ উইকেট ছিল তার।

১৯৬৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রথমবার অবসর নিলেও ১৯৭৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটের সংকটে দেশকে সামাল দিতে আবারও অধিনায়ক হিসেবে ফেরেন সিম্পসন। ৪১ বছর বয়সে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিদেশের মাটিতে দশটি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন।

বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে তার রেকর্ড ছিল দুর্দান্ত— টেস্টে করা ১০টি সেঞ্চুরির সবগুলোই এসেছে অধিনায়কত্ব হাতে থাকার সময়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে করা ৩১১ রানের ইনিংস এখনো কিংবদন্তির কাতারে ধরা হয়।

১৯৮৬ সালে যখন ধারাবাহিক ভরাডুবিতে নিমজ্জিত ছিল অস্ট্রেলিয়া, সে সময় কোচের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সিম্পসন। অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারের সঙ্গে মিলেই গড়ে তোলেন শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রম নির্ভর একটি সংস্কৃতি, যা পরবর্তীতে শেন ওয়ার্ন, মার্ক ওয়া, রিকি পন্টিং, ম্যাথু হেইডেনদের হাত ধরে বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য তৈরি করে।

তার সময়ে অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ বিশ্বকাপ জেতে, ১৯৮৯ সালে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করে এবং ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে পুনরায় বিশ্বের সেরা টেস্ট দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড বলেন, ‘বব সিম্পসন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম মহান এক কিংবদন্তি। তার অবদান, নেতৃত্ব ও দূরদর্শী কোচিং আমাদের সোনালী যুগের ভিত্তি তৈরি করেছে।’

শেন ওয়ার্নও একাধিকবার বলেছেন, সিম্পসনের কাছ থেকেই তিনি আধুনিক লেগস্পিনের সূক্ষ্ম কৌশল শিখেছেন। ফিটনেস এবং ফিল্ডিংয়ের ওপর তার জোর দেওয়াই অস্ট্রেলিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং সাইডে পরিণত করেছিল।

আইসিসি হল অব ফেম এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত এই কিংবদন্তি ২০০৭ সালে ‘অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া’ সম্মাননায় ভূষিত হন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বাড়ির সবাইকে বলেছিলাম দ্রুত সরতে, ফিরে দেখি কিছুই নেই’

ফেসবুকে কথাকাটাকাটি, টেঁটা-বল্লম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ  

রাজধানীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শ্রমিক মৃত্যু

প্রাথমিকে বড় নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার 

জবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপন

জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

ছাত্রদলের ৭ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, একজনকে অব্যাহতি

স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখলে কী হয়? যা বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

বিভিন্ন প্রকল্পে এক বছরে সাশ্রয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি 

১০

রাশিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১১, আহত ১৩০

১১

বাল্কহেডে ডাকাতি, হাতে ককটেল বিস্ফোরণে ডাকাত নিহত

১২

বিশ্লেষণ / কেন আফগানিস্তানেই নজর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের?

১৩

বাংলার ইতিহাস সহাবস্থানের ইতিহাস, সম্প্রীতির ইতিহাস : নাহিদ

১৪

ধর্ষণে ১৩ বছরের কিশোরী নিহত, কিশোর গ্রেপ্তার

১৫

স্বাধীনতাকে রক্ষা করা সবার পবিত্র দায়িত্ব : বিমানবাহিনী প্রধান 

১৬

নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পরাজিত আ.লীগ ষড়যন্ত্র করছে : গয়েশ্বর

১৭

২১০ জনকে নিয়োগ দেবে সিভিল সার্জনের কার্যালয়, এসএসসি পাসেই আবেদন

১৮

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যত দুর্বল হবে, বিশ্ব তত নিরাপদ হবে : আনু মুহাম্মদ

১৯

অসুস্থ হাতির চিকিৎসায় গিয়ে আহত দুই চিকিৎসক

২০
X