জামালপুরের মাদারগঞ্জে হিংস্র প্রাণীর কামড়ে ৩ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে একে একে ৩ জনের ওপর আক্রমণ করে প্রাণীটি। কেউ বলেন প্রাণীটি হায়েনা, কেউ বলেন শেয়াল, আবার কেউবা বলছেন বন্য বিড়াল হতে পারে। এতে আতঙ্কে রয়েছে একটি গ্রামের হাজারো মানুষ। হামলার ভয়ে সন্ধ্যার আগেই শিশুদের নিয়ে ঘরে ঢুকছেন অভিভাবকরা।
আহতরা হলেন, উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের আবেদ প্রামাণিক (৫৬), রোকসানা (৩৪) ও সুকুর আলী (৪৫)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
আহত রোকসানা বলেন, সকাল ১০টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটি হিংস্র প্রাণী আমার পায়ে কামড়ে ধরে। ছাড়ানোর চেষ্টা করলে খামচি দিয়ে ধরে। পরে অনেক কষ্ট করে ছাড়ানো হলে দৌড়ে লুকিয়ে পড়ে প্রাণীটি। পরে উপজেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসি কিন্তু এখনো অনেক ব্যথা করছে।
আহত সুকুর আলী বলেন, বাইরে থেকে বাড়িতে ঢোকার সময় পেছন থেকে এসে আমার পায়ের ওপরের অংশে কামড় দিয়ে ধরে; ছাড়ানোর চেষ্টা করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে খামচি দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। এরপর দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আহত আবেদ প্রামাণিক বলেন, খবর পেয়ে ফসলের মাঠ থেকে আমি বাড়িতে আসি। পরে প্রাণীটিকে আমি ধরার চেষ্টা করলে আমাকেও কামড়ে আহত করে। কিন্তু আমি প্রাণীটিকে ছেড়ে দিইনি। ওই অবস্থায় উপস্থিত জনতা এটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
মনোয়ারা রকিব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান মামুন বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ প্রাণীটির সঙ্গে আরও এমন প্রাণী এলাকায় আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। শিশুরা অনেক ভয়ে আছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিজভি আহম্মেদ বলেন, কামড় কিংবা আঁচড় দিলে আতঙ্কিত না হয়ে জলাতঙ্কর টিকা নেওয়া উত্তম। এ বিষয়ে জামালপুর জেলা ফরেস্ট গার্ড (এফজি) মো. জিয়াউল হক জানান, এ প্রাণীটির নাম গন্ধগোকুল। অত্যন্ত শান্তশিষ্ট স্বভাবের এটি। তারা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে। যদি কেউ খাবার দেয় তবে থেকে যায়, আর যদি খাবার না পায় তাহলে আগের জায়গায় সে চলে যায়। কিন্তু তাকে কেউ উত্ত্যক্ত করলে সে হিংস্র হতে পারে।
মন্তব্য করুন