মাথাব্যথা এমন এক সাধারণ সমস্যা, যা প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময়ে অনুভব করে থাকেন। এটি কখনো হালকা বিরক্তির কারণ হতে পারে, আবার কখনো তীব্র যন্ত্রণায় দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত করতে পারে। স্ট্রেস, ঘুমের অভাব, খাদ্যাভ্যাস, ডিহাইড্রেশন কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। তবে সুসংবাদ হলো, সঠিক যত্ন ও কিছু কার্যকর উপায়ের মাধ্যমে মাথাব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চলুন আজকে জেনে নিই মাথাব্যথা কমাতে বা প্রতিরোধ করতে আপনি কী কী করতে পারেন।
- প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন জাতীয় ওষুধ সাধারণ মাথাব্যথায় ব্যবহার করা যায়।
- মাইগ্রেন বা ক্লাস্টার হেডেক থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট ওষুধ যেমন ট্রিপটানস (যেমন সুমাট্রিপটান) ব্যবহার করতে হতে পারে।
- ঘন ঘন ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন — এতে উল্টো ব্যথা বাড়তে পারে (রিবাউন্ড হেডেক)।
- প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমানো ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
- খালি পেটে থাকা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে মাথাব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
- প্রচুর পানি পান করুন — ডিহাইড্রেশন থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে।
- চা বা কফি অতিরিক্ত না খাওয়া ভালো, কারণ হঠাৎ কমিয়ে দিলে ব্যথা শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন : বয়স্কদের শরীরে তরুণ রক্ত দিলে কী হতে পারে, যা দাবি করা হচ্ছে গবেষণায়
আরও পড়ুন : বাসি রুটি-ঘি দিয়ে বানানো যায় স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা
- হালকা ব্যায়াম বা নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রাখুন।
- স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, প্রার্থনা বা সময়মতো কাজের চাপ কমিয়ে চলা উপকারী।
হালকা গরম পানি বা ঠান্ডা প্যাক (যেমন বরফ মোড়ানো তোয়ালে) মাথায় বা ঘাড়ে ব্যবহার করতে পারেন যা আরাম দেয়।
- পর্যাপ্ত ঘুম
- নিয়মিত পানি পান
- খাবার না বাদ দেওয়া
- ব্যায়াম
- স্ট্রেস কমানো
- মাথাব্যথা ২ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
- মাসে ১৫ দিনের বেশি হলে
- ব্যথা তীব্র বা সহ্যসীমার বাইরে হলে
- ওষুধে কাজ না করলে
- নতুন বা অস্বাভাবিক উপসর্গ থাকলে
আরও পড়ুন : প্রচণ্ড মাথাব্যথা দূর করতে যা করবেন
আরও পড়ুন : জানুন মাথাব্যথার যত ধরন
মাথাব্যথা যদিও খুব সাধারণ, কিছু মাথাব্যথা হতে পারে গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পেলে বেশিরভাগ মাথাব্যথাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
সূত্র: হেলথলাইন
মন্তব্য করুন