স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘খাদ্য নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা : বাংলাদেশে খাদ্য শিল্পকে দৃঢ় ও সক্ষম করে তোলা’ শীর্ষক একটি সময়োপযোগী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কন্টিনিউইং এডুকেশন (ISDCE), সহযোগিতায় ছিল পাবলিক হেলথ বিভাগ এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান। তিনি বলেন, শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয়, বরং বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জনই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশাগত সাফল্যের মূল ভিত্তি। দক্ষতা বিকাশে ISDCE-এর এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. দিদারুল আলম, হেড অব কোয়ালিটি অ্যান্ড প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, টি কে ফুড প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। তিনি বলেন, আধুনিক খাদ্য শিল্পে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন বহুমাত্রিক দক্ষতা- যেমন টিমওয়ার্ক, কার্যকর যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান, বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং ERP সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি (BFSA) -এর সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা একটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, যা টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। এর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ISDCE-এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পাবলিক হেলথ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হুসেইন। সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, খাদ্য শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যৎ পেশাগত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউর রহমান এবং সহকারী অধ্যাপক ও কোর্স সমন্বয়কারী ড. শাব্বির আহম্মেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তাহনিয়াতুল জান্নাত সামিরা, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ISDCE এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জনাব নাইম আল আমিন।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও ল্যাবএইড গ্রুপসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বাস্তবমুখী এ আয়োজন দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পখাতে কার্যকর অবদান রাখবে।
এই সেমিনার শুধু একটি একাডেমিক আয়োজন নয়, এটি ছিল ভবিষ্যতমুখী একটি উদ্যোগ, যা খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য এবং দক্ষতা উন্নয়নের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ককে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে।
মন্তব্য করুন