

দেশের করপোরেট অঙ্গনের ২৪ শীর্ষ নির্বাহীকে সম্মান জানিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস। রোববার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠানটি পরিবেশনা করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং সহযোগিতা করেছে টুয়েলভ ক্লোদিং। এই বছর মোট ২৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
সম্মাননা প্রদান ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের সি-সুইট নির্বাহী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ খাতের বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের শক্তি নির্ভর করে নেতৃত্বের মানের ওপর। সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড কেবল সম্মাননা নয়, এটি করপোরেট নেতৃত্বকে আরও উন্নত করার আহ্বান।’
এ বছর ৫১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০২টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। বিজয়ীদের বাছাই করা হয়েছে বিশেষায়িত কাউন্সিল বোর্ডের মাধ্যমে, যাদের মধ্যে ছিলেন আশরাফ বিন তাজ, প্রফেসর ইমরান রহমান, মোহাম্মদ নাকিব উদ্দিন খান, ড. একে এনামুল হক এবং এম জুলফিকার হুসাইন।
পুরস্কার অনুষ্ঠান ও লিডারশিপ সামিট একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়। নবম লিডারশিপ সামিটের প্রতিপাদ্য ছিল ‘রেজিলিয়েন্ট লিডারশিপ - থ্রাইভিং অ্যামিড আনসার্টেনটি’। দেশের সি-সুইট নির্বাহী, ব্যবসায়িক শিক্ষাবিদ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা ৩টি কী-নোট সেশন, ৩টি প্যানেল ডিসকাশন এবং ১টি ইনসাইট সেশনে নেতৃত্ব, করপোরেট দায়িত্ব, আর্থিক শৃঙ্খলা ও টিম রেজিলিয়েন্স নিয়ে আলোচনা করেন।
অন্তর্দৃষ্টিমূলক আলোচনায় উঠে আসে কিভাবে সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দেশের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে শক্তিশালী করতে পারে।
উল্লেখ্য, এই আয়োজনে টার্কিশ এয়ারলাইনস ছিল অফিসিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার, মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ নলেজ পার্টনার, ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টার ভেন্যু পার্টনার, কাজী কনসালট্যান্টস লার্নিং পার্টনার এবং ব্যাকপেজ পিআর পার্টনার হিসেবে অংশ নিয়েছে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশের করপোরেট নেতৃত্বের মানোন্নয়ন ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
মন্তব্য করুন