সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন্যায় ভেঙে গেছে সড়ক, ৯ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

বন্যার পানির চাপে শাহজাদপুরের কাশিনাথপুর-শক্তিপুর পাকা সড়কের চিথুলিয়া অংশ ভেঙে গেছে। ছবি : কালবেলা
বন্যার পানির চাপে শাহজাদপুরের কাশিনাথপুর-শক্তিপুর পাকা সড়কের চিথুলিয়া অংশ ভেঙে গেছে। ছবি : কালবেলা

বন্যার পানির তীব্রতায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের একটি আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের ৯ গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পাকা সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় গরুর দুধ, ধানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে পারছে না এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাউতারা স্লুইচ গেট দিয়ে কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া এলাকা প্লাবিত হয়। ধীরে ধীরে পানির চাপ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে গত বুধবার (৩ জুলাই) রাতে কাশিনাথপুর-শক্তিপুর পাকা সড়কটির চিথুলিয়া অংশের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিটার অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়ার ফলে সড়কটি দিয়ে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কায়েমকোলা, বাঙ্গালপাড়া, সায়েস্তাবাদ, সরাতৈল, বৃ-আঙ্গারু, চর আঙ্গারু, বনগ্রাম, কাশিনাথপুর, চিথুলিয়া গ্রামের অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত গরুর দুধ, ধানসহ বিভিন্ন ফসল সরবরাহ করতে পারছে না কৃষকরা।

চিথুলিয়া গ্রামের হাবিব মোল্লা, দিদার বক্স, দুলাল হোসেন ও শাহজাহান আলীসহ অনেকেই বলেন, মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে সড়কটির ওই অংশের নিচের ছিদ্র দিয়ে পানি গড়াতে থাকে। তখনই এলাকার লোকজন উপজেলা এলজিইডি অফিসকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তারপরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বুধবার রাতে সড়কটি ভেঙ্গেঙে যাওয়ার পর খবর দিলেও তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তিনদিন ধরে কিছু কাঁচা অবাত্তি বাঁশ ও এ সড়কের পাশের ইউকালেক্টাস গাছ দিয়ে খুবই ধীরগতিতে পাইলিংয়ের কাজ করছেন। ধীরগতিতে এসব কাজ করছে।

কায়েমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান বলেন, বুধবার রাতে সড়কটির চিথুলিয়া অংশে ভেঙে যাওয়ার সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সড়কটি মেরামত করা হয়নি। এ সড়ক দিয়ে এলাকার মানুষের চাল,ডাল, ধানসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য পরিবহন করতে হয়। বিশেষ করে এ সব গ্রাম থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত প্রায় ৭শ মণ দুধ মিল্কভিটসহ বিভিন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় সরবরাহ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে খামারিদের।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনি বলেন, সড়কটির প্রায় ২০ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে। এটি মেরামতে এলজিইডির বরাদ্দ নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সেখানে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে। ভাঙার পরিমাণ ও পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের এখানকার মেরামত কাজ শেষ হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা : বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক

চীনা পর্যটন দিবস উদযাপন করল চীনা দূতাবাস ও আটাব

আনচেলত্তির ব্রাজিল অধ্যায় শুরুর আগেই চমক, দলে ফিরছেন নেইমার

অসচ্ছল শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ছাত্রদল নেতা বাসিত 

চলন্ত ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলছিল মতিউর, নেপথ্যে কী?

আ.লীগ কার্যালয়ে আরও বড় ব্যানার জুলাই যোদ্ধাদের

সিরিজে ফিরতে আশাবাদী অঙ্কনরা

ক্ষমা চাইলেন ইশরাক

কাশিমপুর কারাগারে নুসরাত ফারিয়া

পুরোনো মডেলেই হচ্ছে নতুন বাজেট : আমীর খসরু

১০

জিপিওর সম্পদ সুরক্ষায় সমাবেশ 

১১

জীবন বাঁচাতে মাঝ নদীতে ঝাঁপ দিলেন ট্রলারের যাত্রীরা

১২

বামন দম্পতির আক্ষেপ / ‘অনেক কষ্টে মা হয়েছি ঠিকই, সন্তানের দুধ কেনার টাকা নেই’

১৩

ইমরানকে যেভাবে সরানো হয়েছিল, একইভাবে শেহবাজকে সরাতে চায় পিটিআই

১৪

হাসনাত আব্দুল্লাহকে কুমিল্লা বিএনপির আলটিমেটাম

১৫

একই দিনে ২৩ নিয়োগ পরীক্ষা, বিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা

১৬

৩৪তম বিসিএস পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দীন, সম্পাদক জুয়েল

১৭

১০ বছর পর প্রকাশ্যে চবি ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ-সমাবেশ

১৮

সিআইডির সাবেক প্রধানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৯

শত কোটি টাকা আত্মসাৎ / কাস্টমস কমিশনারের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক

২০
X