কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোস্টগার্ডের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে কোস্টগার্ড। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার টেকনাফ মডেল থানায় কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. কর্নেল অনিক মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ২৯ জনকে এজাহারনামীয় এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল বাতেনকে। তিনি পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুলাই সেন্টমার্টিনের ট্রলারডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডারসহ পাঁচজন আহত হন। বেশকিছু সরকারি মালপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়ার ফয়সালকে ১ নম্বর আসামি করে সেন্টমার্টিন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহকে ২ নম্বর আসামি এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে ৩ নম্বর আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় করে মামলা করে কোস্টগার্ড।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামে ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জন উদ্ধার হয়। পানিতে হারিয়ে যায় নুর মোহাম্মদ সৈকত নামে এক কলেজছাত্র। তাকে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হন মো. ফাহাদ ও মো. ঈসমাইল। তাদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি নিয়ে দ্বীপবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদী হয়ে দ্বীপের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেনি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যায়। তারা ফিরে গেলে নিহতদের ছবি তোলা নিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের সঙ্গে দ্বীপবাসীর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় ফাঁকা গুলি চালায় কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় হানিফ নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হন। শুনলাম এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।