মো. আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাহাড়ে বস্তায় আদা চাষে কৃষকের সাফল্য

বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ। ছবি : কালবেলা
বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ। ছবি : কালবেলা

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ি মাটিতে মিশ্র ফল বাগানের ফাঁকে বস্তায় আদা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। সে কারণে বাণিজ্যিকভাবে এ পদ্ধতিতে আদা চাষে ঝুঁকছেন তারা।

আদা উচ্চমূল্য ও ভেষজ ঔষধিগুণে ভরপুর এবং মসলাজাতীয় ফসল। নিত্যদিন রন্ধনশালায় নানা খাবারে স্বাদ বাড়াতে আদার জুড়ি নেই। ওষুধশিল্পে কাঁচামাল হিসেবেও আদার চাহিদা ব্যাপক। তাই সারা বছর বাজারে ভোক্তার কাছে এর চাহিদা বেশি।

মাটিতে সরাসরি আদা চাষে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করা যায় না। এতে ঘাসের যন্ত্রণায় মাটি শক্ত হয়ে যায়। ফলে আদার বিস্তারে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফলন কমে যায়। আর বর্ষাকালে মাটিতে পানি জমে আদা পচে যায়। কিন্তু বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে এ ধরনের কোনো ঝুঁকি থাকে না। বস্তায় মাটি নরম থাকে ফলে ঘাস কম হয়।

এদিকে মাটিরাঙ্গার মোহাম্মদপুর এলাকায় রশিদ মিয়ার বাগানে গিয়ে দেখা মিলে প্রায় সহস্রাধিক বস্তায় একটি মিশ্র ফল বাগানে আদা চাষ। প্রায় এক একরের একটি মিশ্র ফল বাগান করেছেন তিনি।

পথ চলতে পথের পাশেই বাঁশের ঘেরার ভেতরে সারি সারি বস্তায় আদা গাছ গাছগুলোও বেশ সুন্দর পাতার রং আর সতেজতা দেখেই যে কেউ বুঝতে পারবে যে এ বাগানে ভালো ফলন হবে।

প্রায় ১ টন আদা উৎপাদনের আশা করে করা বাগানের কেয়ারটেকার অনুমান করে বলেন, প্রতি কেজি আদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি মূল্য হলে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার আদা বিক্রি করা যাবে।

মাটিরাঙ্গায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় পাচ্ছে। উপজেলার বড়নাল, তবলছড়ি, তাইন্দং ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে এর চাষ করা হয়। মাটিরাঙ্গায় আদা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৪৩০ হেক্টর, অর্জিত ৪৪০ হেক্টর।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী জানান, মাটিতে মসলাজাতীয় আদা চাষ করলে ভূমি ক্ষয় ও নানা ধরনের রোগবালাইয়ের ঝুঁকি থাকে। জমিতে আদা চাষে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি কন্দপচা রোগ। টানা ১০ থেকে ১৫ দিনের বৃষ্টিতে হলে এই রোগের সংক্রমণ হয়। কিন্তু বস্তায় আদা চাষে সেই ঝুঁকি নেই। যতই বৃষ্টি হোক বস্তায় পানি বেশিক্ষণ জমে থাকে না। আর যেহেতু প্রতিটি বস্তা আলাদা আলাদা তাই কন্দ পচা রোগ সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেন ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার পায় না বিপিএল, জানালেন ফারুক

দেশে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড দামে

ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল বরখাস্ত

এক প্রেমিকা নিয়ে দুই প্রেমিকের সংঘর্ষ

প্রযোজক রূপে তাসনিয়া ফারিণ

জুবিনের মৃত্যুরহস্য, ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন গরিমা

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ইসি কর্মকর্তা বরখাস্ত

তালাবদ্ধ দোকানে মিলল স্ত্রীর মরদেহ, পালিয়েছে স্বামী

ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর, বন্দিবিনিময় শুরু

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভারতীয় আগ্রাসন বাড়বে : এম এ মালিক

১০

আজকে বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস

১১

ইলিশ নিয়ে নদীতে ঝাঁপ, ২৪ ঘণ্টা পরও যুবক নিখোঁজ

১২

জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি বাংলাদেশ

১৩

ফিক্সিংয়ে জড়িতরা কি আগামী বিপিএল খেলবেন, যা জানা গেল

১৪

ট্রেন থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

১৫

সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু

১৬

মোদিকে নিয়ে চাটুকারিতা, বিপাকে বিক্রান্ত ম্যাসি

১৭

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, যুবক নিহত

১৮

আমরা বাণিজ্যযুদ্ধ চাই না, তবে ভয়ও পাই না : চীন

১৯

বিয়ে করতে চান মালাইকা, আছেন প্রস্তাবের অপেক্ষায়

২০
X