রংতুলির আঁচড়ে এ যেন এক নীরব প্রতিবাদ জানান দিচ্ছে অঘোষিত নতুন স্বাধীনতার সূর্য পুনরায় নতুন রূপে হেসে উঠছে। নতুন বিজয়কে বরণ করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া একদল ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলাকে নতুন রূপে রাঙিয়ে তুলেছেন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। পেশাদার শিল্পী না হয়েও শিল্পের সুষমায় প্রাণের উচ্ছ্বাস ঘটিয়েছেন তারা। দেয়ালে দেয়ালে বিভিন্ন চিত্র ও লেখনী দিয়ে করেছে প্রতিবাদ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেছারাবাদ থানা সংলগ্ন প্রতিটি দেয়াল, স্বরূপকাঠি পাইলট মাধ্যমিক মডেল বিদ্যালয়, স্বরূপকাঠি গার্লস স্কুল, সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজ চত্বরে, শিক্ষার্থীরা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন সংস্কারের নির্দেশনা, স্বাধীনতার জয়গান, তারুণ্যের উন্মাদনা, ভালোবাসার উচ্ছ্বাস ও মানুষ এবং মানবতার জয়গান।
শিক্ষার্থীদের এই সৃজনশীল কাজে উৎসাহ জোগাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ কেউ উৎসাহ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের আবার কেউ বা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ভয় পেলে তুমি শেষ, রুখে দাঁড়ালেই বাংলাদেশ। কোটা বৈষম্যে আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধের ছবিসহ সেই চিৎকার- পানি লাগবে, পানি? শহীদ আবু সাঈদের সেই আত্ম-চিৎকার- চালান, গুলি চালান! বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদের চিত্রকর্ম ও বার্তা রংতুলির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এ যেন বাংলাদেশকে নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ এই শিক্ষার্থীদের।
দেয়ালে ছবি আঁকারত শিক্ষার্থী নওশাদ মাহমুদ বলেন, দেশ যে গৌরব গাঁথা নব উত্থানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই ইতিহাসকে সাক্ষী হিসেবে ধরে রাখার জন্য এই দেয়াল লিখনী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম কোন নগর সভ্যতা আমরাই ময়লা করেছি, আমরাই আবার পুনরায় পরিষ্কার করব। এটা আমাদের ছাত্রদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের তারা দেশব্যাপী চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ছাত্রনেতা নিয়াজ মাহমুদ জানান, ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে ২৪ সালকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য এই শিল্পকর্ম। এই শিল্পকর্ম ২৪ এর এই নব উত্থান ও বাংলার মাটিকে ও মানুষের মনকে রাঙিয়ে তুলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন