বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১০:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বরিশালে জাহিদ-খোকন-সাদিকসহ আ.লীগের হাজার কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বাঁ থেকে- জাহিদ ফারুক, আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, সাদিক আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
বাঁ থেকে- জাহিদ ফারুক, আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, সাদিক আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল নগরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সাবেক দুই সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নামধারী ৩৬৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় বরিশাল মহানগর বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এটি মামলা হিসেবে রুজু করা হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- পতন হওয়া সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), সাবেক মেয়র ও মহানগর আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর।

এ ছাড়াও মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৫ কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- নগরের ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না, এনটিএমসির মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের ভাই ও ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ শাসুদ্দোহা আবিদ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামজিদুল কবির বাবু, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্না হাওলাদার, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খান মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন রয়েল, ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, ২৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান মোল্লা, ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, সালমা আক্তার শিলা ও আয়েশা তৌহিদ লুনা।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন- সরকারের পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় নামধারীরাসহ অজ্ঞাত ৭০০ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে পিস্তল, শটগান, ককটেল, রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল ও শাবল নিয়ে নগরের সদর রোডের টাউন হলের পাশে হামলা করে। তারা গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে টিভি, কম্পিউটার ও সাউন্ড সিস্টেমসহ সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া দ্বিতীয় তলার জিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আগুন দিয়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা চারটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিভাতে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়াল এনবিআর

ভূমিকম্প আতঙ্ক : জবিতে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ

পদ্মার চর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৭৮

যেসব সূক্ষ্ম লক্ষণে বুঝবেন শরীরে হয়েছে পুষ্টির ঘাটতি

সড়কে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না : ফারুক

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে যেসব এলাকায়

মোবাইলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল দেখবেন যেভাবে

মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে : এ্যানি

১০

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল নারী চিকিৎসকের

১১

৫টার মধ্যে ঢাবির হল খালির নির্দেশ

১২

শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৩

রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

১৪

থানা ব্যারাকে এএসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৫

ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

১৬

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে গ্রেপ্তার করবে : শাহজাহান চৌধুরী

১৭

মারা গেলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম

১৮

আপনি কি জানেন, কেন তালার নিচে ছোট্ট ছিদ্র থাকে?

১৯

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু

২০
X