ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফুলগাজী ও পরশুরামে ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে দুই উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, ফলে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।। ছবি : কালবেলা
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে দুই উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, ফলে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।। ছবি : কালবেলা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে উপজেলা দুটির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। চরম দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার মানুষ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরশুরামে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দুটি নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারি বৃষ্টি ও উজানের অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে গত ২ আগস্ট মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি অংশে ভাঙনের ফলে লোকালয় প্লাবিত হয়েছিল। গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানি আবার বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙনের স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।

এতে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগর এলাকায় বাঁধের দুটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়া এলাকার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, গত বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। সেগুলো মেরামত করার আগেই গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পানিতে ভাঙন অংশ দিয়ে আবারও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার কালবেলাকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে

মার্কিন সিনেটে বিল পাস, শেষ হচ্ছে ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

‘ইনশাআল্লাহ আমরা ভারতের বিপক্ষে জিতব’

অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল নেতা জিয়া 

মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার আমিনুল হকের

স্কুলভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

মানব পাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

ফের প্রেমে মজেছেন জেসিকা আলবা

কীভাবে বাবাকে হত্যা করেছেন ছেলে, উঠে এলো রোমহর্ষক বর্ণনা

থাইরয়েড থাকলেও পেটের চর্বি কমবে যেসব সহজ উপায়ে

১০

দিল্লি বিস্ফোরণ / বন্ধ লাল কেল্লা, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ সতর্কতা

১১

দেশে তাপমাত্রা নেমেছে ১৪ ডিগ্রিতে, রাতে যত কমবে

১২

সাভারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আকাশ গ্রেপ্তার

১৩

‘মেসি নয়, ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা রোনালদোর বেশি’

১৪

টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৫

বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন

১৬

ছাত্রদলের ১৯ নেতাকর্মী বহিষ্কার

১৭

মস্তিষ্ক ছাড়াই চলল ২০ বছর, ‘অলৌকিক’ ঘটনা বলছেন চিকিৎসকরা

১৮

মুন্সীগঞ্জে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান

১৯

আইবিএস সিস্টেমে সরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর কর্তনের নির্দেশ

২০
X