কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ঢালুয়া সড়কে ডাকাতিয়া নদীর পানি বেড়েই চলেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে ছিলপাড়া, শাকতলা, ঘোরক মুড়া, সিওর, মনতলী, জামরুল, অষ্টগ্রাম, মদনপুর, সাতবাড়িয়া গ্রামে হু হু করে পানি বাড়তে থাকে।
আতঙ্ক বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা নারী পুরুষের মাঝে। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার অধিকাংশ গ্রামে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি।
মুছাপুর বাঁধ ভাঙার কারণে নাঙ্গলকোটের তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সোমবার পানির স্রোতে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নে মন্তলী গ্রামে আকতার আলী (২৬) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
নাঙ্গলকোটর উপজেলা ঢালুয়া ইউনিয়নের শিউর গ্রামের আজগর আলি বলেন, আমাদের গ্রামটি ডাকাতিয়া নদীর পাশেই অবস্থিত। গত ৭ দিন এ ইউনিয়নের মানুষগুলো পানিবন্দি।
মদনপুর গ্রামের আতাউর রহমান (৬৯) বলেন, আমার বয়সে এত পানি কোনোদিন দেখিনি।
নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, উপজেলাটির দুর্গম এলাকাগুলোতে পানিবৃদ্ধি ও যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো খাবার পৌঁছায়নি। তবে আমরা স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন