মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০২:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কলাপাড়ায় ৮ কোটি টাকার সবজি নষ্ট

পটুয়াখালীতে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট সবজির ক্ষেত। ছবি : কালবেলা
পটুয়াখালীতে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট সবজির ক্ষেত। ছবি : কালবেলা

লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল কলাপাড়ায় বিগত ২০ দিন ধরে চলা ভারি বর্ষণে প্রায় ৮ কোটি টাকার শরৎকালীন শাকসবজি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। এতে এলাকার প্রায় ২ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বর্তমানে সবজির উৎপাদন না থাকায় দেখা দিয়েছে সবজির সংকট। হু হু করে দাম বাড়ছে প্রতিটি সবজির। ফলে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বিগত দিনে টানা বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ নষ্ট হয়েছে। লাল হয়ে গেছে গাছ। পচন ধরা শুরু করেছে গাছে। পাশাপাশি গাছে ধরা যে সবজি ছিল তাও পচে যাচ্ছে।

জানা গেছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছিল। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় থাকার ফলে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ ছিল টানা। পুকুর খাল বিল তলিয়ে যাওয়ার ফলে এমন ক্ষতির মুখে এখানকার কৃষকেরা।

কৃষকরা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিতে তাদের করলা, মরিচ, চিচিঙ্গা, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নষ্ট হয়েছে। করলার বাম্পার ফলন ছিল এবং দামও ভালো পেয়েছেন। টানা বৃষ্টি না থাকলে এবার সবাই লাভের মুখ দেখত।

কৃষকরা আরও জানান, একদিকে যেমন সবজি নষ্ট হয়েছে, আরেকদিকে তাদের আগাম শীতকালীন সবজির বীজ নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। কৃষকদের দাবি তারা যেন সরকারি সহায়তা পায়। সহায়তা পেলে ক্ষতি পুষিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষক মো. মাসুম বলেন, এবার সবজির উৎপাদন ভালোই ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে আমার সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার সবজি নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি আগাম শীতকালীন সবজির বীজও নষ্ট হয়েছে। এখন নতুন করে বীজ বপন করার চেষ্টা করছি।

সবজি বিক্রেতা মো. ওমর ফারুক বলেন, সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। সবজি না থাকায় দাম বাড়ছে। এখন লাউ বিক্রি হয় ৭০/৮০ টাকায়, চিচিঙ্গা বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজি দরে, ঢেঁড়শ বিক্রি হয় ৫০ টাকা কেজিতে, করলা ৭০ টাকা কেজিতে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, এবারের টানা বৃষ্টিতে উৎপাদিত সবজির ১৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে; যা টাকার হিসেবে ৮ কোটি টাকারও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আমরা সাধ্যমতো সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব। পরামর্শ সব সময় দিয়ে আসছি এবং ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যা যা করণীয় তা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

১০

এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

১১

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

১২

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৩

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

১৪

৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি করে যুবককে হত্যা

১৫

আ.লীগ নেত্রী আকলিমা তুলি গ্রেপ্তার

১৬

এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে, কীভাবে?

১৭

ভৈবর নদে তলিয়ে গেল সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট জাহাজ

১৮

অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় লিপটন কারাগারে 

১৯

আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২১

২০
X