নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রখর রোদ মোকাবেলায় কৃষকের মাঠে কদর বেড়েছে ছাতার। শ্রাবণের খরতাপে পুড়ছে মাঠ-ঘাট। বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই।বৃষ্টির অভাবে আগাম আমন ক্ষেত আগাছায় সয়লাব হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
অন্যদিকে মাঠে কাজ করতে গিয়ে খেটে খাওয়া মানুষ প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে ঘামছেন। তবুও তারা জীবিকার তাগিদে মাঠে ছাতার নিচে কিছুটা স্বস্তির ছায়া খুঁজছেন।
আরও পড়ুন : বিষ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ঘাস, হুমকিতে কৃষি-জীববৈচিত্র্য
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, আমন ধানের ক্ষেতগুলো আগাছায় ভরে উঠছে। পাশাপাশি বৃষ্টির অভাবে ক্ষেতগুলো ফেটে চৌচির। সর্বত্রই কৃষক ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার ও শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ সময় দেখা যায়, গ্রাড়াগ্রাম ইউপির টেপার হাট সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন নারী শ্রমিক রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষায় চিকন বাঁশের খুঁটিতে ছাতা বেঁধে তার ছায়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন। এমন দৃশ্যের দেখা মিলে আরও বেশ কিছু এলাকায়।
কাজে কর্মরত নারী শ্রমিক সঞ্চিতা বলেন, ‘আগুনের গোলার মত রোধ আর ভ্যাপসা গরমে মাঠে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। যা গা পুড়ে যাওয়ার মত। পুড়লে কি হবে অভাবি সংসার কাজ না করে উপায় নেই।’
আর এক শ্রমিক মুক্তা বলেন, ‘বাহে বাড়িত যদি হামার গিলার থাকিল হয়, তাহলে অঙ্গার করা রোদে কাজত আসনো না হয়। পেটে খায় তাই পিঠে সয়। তাই এ রোদোত কামোত এসেছি। তবে কিছুটা রোদ থেকে রেহাই পেতে বুদ্ধি খাটেয়া ছাতার নিচে নিড়ানি দেয়ছি।’
আরও পড়ুন : ভরা বর্ষায়ও বৃষ্টি নেই, আমন-পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
ওই এলাকার কৃষক মতলুবর রহমান বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে এবছর খেতে রেকর্ড ভঙ্গ আগাছা জন্মেছে। এক বিঘা জমিতে যেখানে নিড়ানি বাবদ শ্রমিক লাগতো ৩ থেকে ৪ জন। এখন লাগছে ৭ থেকে ৮ আট জন। এই রোদে খেটে খায়া মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। শ্রমিক সংকটও দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে আমন উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, অনাবৃষ্টির হাত থেকে আমন খেত রক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সেচ ও নিড়ানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন