চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এক নেতার দাওয়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিএনপিপন্থি সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক এমএ মুছা বাবলু। মূলত বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ‘মাইজভান্ডারী দর্শন’ গানের শিডিউল ধারণ অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে এই পরিস্থিতি। বিষয়টি নিয়ে হট্টগোলের পর এমএ মুছা বাবলুকে শোকজ করেছে জাসাস।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দপ্তরের দায়িত্বে থাকা জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ শোকজ করা হয়েছে। ‘পতিত স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা অনৈতিক কাজ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণ দর্শাতে আগামী পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
শোকজ নোটিশের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন। তিনি কালবেলাকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনো অনিয়মের সঙ্গে যদি দলীয় কর্মীদের কারও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আসে, তাহলে যেন সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকশন নেওয়া হয়। এই নির্দেশনা মোতাবেক এমএ মুছা বাবলুকে শোকজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামীপন্থি সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে কখনো শিল্পী, কখনো সংগীত পরিচালক আবার কখনো উপস্থাপক সেজে এই অভিযুক্ত দাপটের সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছিলেন। ফলে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান ধারণ করতে গেলে ক্যামেরা শাখা এবং অন্যান্য শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার প্রোগ্রাম ধারণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে লাগে হট্টগোল। পরে সমঝোতার মাধ্যমে অনুষ্ঠান ধারণ সম্পন্ন হয়। অভিযোগ ওঠে, শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন জাসাসের চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এমএ মুছা বাবলুকে। এ ঘটনায় বাবলু ও নজরুল ইসলামের সখ্য নিয়ে সাংস্কৃতিকমনাদের মাঝে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে জানতে জাসাস নেতা এমএ মুছা বাবলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভি হয়নি।
মন্তব্য করুন