কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেলাল হোসেন ও শ্যামল নামে আরও দুজন। বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোডাউন মোড় এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আহত সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ভেড়ামারা উপজেলার খাদ্য গুদাম এলাকার দুলাল প্রামাণিকের ছেলে। আহতদের অভিযোগ, জাসদ যুবজোটের জেলা কমিটির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। কিন্তু জাসদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটি দলীয় কোনো ঘটনা নয়, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পূর্ব বিরোধ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক বুধবার রাত ১১টার দিকে তার বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় তার দুজন কর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।
জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভন ও তার লোকজন উপজেলার গোডাউন মোড় এলাকায় জড়ো হয়ে হঠাৎ করেই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ও তার সঙ্গে থাকা বেলাল হোসেন ও শ্যামলের ওপর হামলা করেন। এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে এতে সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের পায়ে গুলি লাগে। এ ছাড়াও তার মাথায় ও শরীরে গুরুতর জখম করা হয়। আহত অবস্থায় তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই নিয়ে স্থানীয় জাসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, সঞ্জয়ের পায়ে ছররা গুলির আলামত আছে। এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। চিকিৎসাধীন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী বেলাল হোসেন জানান, জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভন। তার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব না। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এটা আসলে এলাকাভিত্তিক ঝামেলার কারণে হয়েছে বলে আমি শুনেছি। এটিকে একটি পক্ষ রাজনৈতিক তকমা লাগানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এটা তাদের স্থানীয় বহু আগে থেকে দ্বন্দ্ব। এ ঘটনার দায় জাসদ বা যুবজোট নেবে না। এখানে জাসদ-আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা ১৪ দলের শরীক একটি দল। ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ আসেনি। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই মূলত এ ঘটনা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন