নরসিংদীর শিবপুরে শাওন (২০) নামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণকে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে রাতের আঁধারে শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও দৃশ্য ধারণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের সৈদেরখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : যুবক-যুবতীকে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩
নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবন্ধীর বাবা মামুন বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
অভিযোগকারী জানান, সাধারচর গ্রামের আনোয়ারের ছেলে চেয়ারম্যানের পালিত মাস্তান আশ্রাফ ও জাকিরের ছেলে সাকিবের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি বিশাল বাহিনী। আর এই বাহিনীর সদস্যদের অত্যাচারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা ও হয়রানির ভয়ে প্রতিবাদ না করে নীরবে সব মেনে নিতে হয়। ঘটনার দিন আমার মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে কলাবাগানে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ শারীরিক নির্যাতন করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ রয়েছে এবং অসামাজিক কার্যকলাপের স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য মারধর করে ভিডিও ধারণ করে তারা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ আহমেদের মাধ্যমে এই ভিডিওগুলো আমি পাই। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আশরাফ ও তার সহযোগী জহিরুল হোসেনের ছেলে মাসুম (২০), আজি মিয়ার ছেলে সুমনসহ (২৪) আজ্ঞাত পাঁচ থেকে সাতজন বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও মারধর করে অসামাজিক কার্যকলাপের স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। আমার ছেলে বাড়ি থেকে বেশিদূর গেলে রাস্তা ভুলে যায়। কোনো কথা ঠিকমতো বলতে পারে না।
‘ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে বিচার না করায় আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আমার পরিবার তাদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মেয়ে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। এর আগেও আমার এ প্রতিবন্ধী ছেলেকে হাঁস চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছিল।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ আহমেদ জানান, এটা তেমন কিছু ঘটনা ঘটেনি, তাকে শাসন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তার মা একটু বেশি বাড়াবাড়ি করতেছে। এ ছাড়াও প্রতিবন্ধী শাওনকে তার বাবা অনেক নির্যাতন করে। অভিযোগ করে আপস মীমাংসা করে কিছু পাওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন