নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শীতলপাটি তৈরির মুর্তা বা পাটিবেত চাষ কমে গেছে। এতে কাঁচামালের অভাবে পাটির কারিগররা বিপাকে পড়ছেন। বেড়েছে দামও।
স্থানীয় ভাষায় এ পাটিবেত ‘মোতা’ নামে পরিচিত। এক সময় দেশের উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে নীলফামারী জেলার প্রায় সবখানেই এর চাষ হতো।
কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এ মুর্তার চাষ হতো বেশি। বর্তমানে এ উপজেলায় এটি বিলুপ্তপ্রায়।
মোতা চাষি মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘উত্তর বঙ্গত যে যে উপজেলায় নীলফামারীর মেয়ে-ছওয়া ছিল, সে সে উপজেলায় মোতার চাষ হয়েছিল। নীলফামারী জেলাত কয়োটা উপজেলাত মোতা আবাদ হছিল, যা চোখে পড়ার মতো বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ থানাত সউগ ইউনিয়নে আবাদ হছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আবাদ করতে খরচ ও পরিশ্রম বেশি হওয়ায় কমি গেইছে চাষাবাদ। ধরি নেন বাড়িত একশ মোতার শুটা থাকা মানে একশ মণ ঘরত বা মাচাত ধান থাকা। একান তেহাতা শপ বানাইলে যা টাকা হতো তা দিয়ে চাউল-ডাউলসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা যেত। এখনকার মানুষ আলসিয়া হয়া গেইছে।’
ব্যবসায়ী রমজান আলি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ বাজারে মুর্তার কদর ছিল প্রচুর। অনেক দূর-দূরান্তর থেকে পাইকার এসে শীতলপাটির কাঁচামাল কিনে নিতেন। এসব সারা দেশে সরবরাহ করা হতো। এখন এ কৃষিপণ্য বিলুপ্তের পথে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, ‘আমরা শীতলপাটির মুর্তা চাষিদের প্রশিক্ষণ ও ভর্তুকির মাধ্যমে এর চাষাবাদ ধরে রাখার পদক্ষেপ নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা হস্তশিল্প হিসেবে শীতলপাটির মুর্তা চাষে আগ্রহী, তাদের তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।’
মন্তব্য করুন