সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করছে পুলিশ

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করছে পুলিশ। ছবি : কালবেলা
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করছে পুলিশ। ছবি : কালবেলা

ঢাকার সাভারের কমলাপুর এলাকার কবরস্থান থেকে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এ কার্যক্রমে উপস্থিত রয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। শ্রমিকরা উত্তোলনে কাজ করছেন। উপস্থিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুরকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৭৮৭/২৪ এ হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালত আদেশ প্রদান করেন। তার মেয়ে সামিরা তানজিম সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন করেন।

এ মর্মে যে, তার বাবা হারিছ চৌধুরীকে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে মাহামুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়। হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফলাফল, মৃত্যু সনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার জন্য আবেদন করেন।

এমতাবস্থায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের আদেশ মোতাবেক কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ১৭৬(২) ধারার বিধান অনুযায়ী হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুরকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী তখন জানান, তার বাবা ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।

হারিছ চৌধুরী বিএনপির সবশেষ শাসনামলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন।

বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. মনিরুল হক মেম্বার বলেন, করোনার সময় মরদেহ এখানে এনে দাফন করা হয়। আমরা জানতাম না এটা বিএনপির এত বড় একজন নেতার লাশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের বৈঠক

কারিশমার সন্তানদের মাসিক খরচ বন্ধ

গ্রামীণ ব্যাংকের ফটকে ৩টি ককটেল, দুই নারীকে ‘সন্দেহ’

আরও ৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

অবৈধ ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে ডিএনসিসির নির্দেশ

জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি

মৃত্যুর আগে ১১ জনকে দায়ী করে বিএনপি নেতার ভিডিও বার্তা

মিরপুর টেস্টে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিসিবির বিশেষ সুবিধা

আইসিসি থেকে দুঃসংবাদ পেলেন বাবর

কারাবন্দি সাবেক মেয়র আইভী আরও ৫ মামলায় গ্রেপ্তার

১০

মাদুরোর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ট্রাম্প, সেনা মোতায়েনেরও সম্ভাবনা

১১

সীতাকুণ্ডে মর্টার শেলের আঘাতে কেঁপে উঠল পুরো এলাকা

১২

ফের ঢাকায় আসছেন আতিফ আসলাম

১৩

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

১৪

আকর্ষণীয় দাড়ি চাইলে প্রয়োজন বাড়তি যত্নের, রইল টিপস

১৫

নির্বাচন কবে, জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশ

১৭

রাতে বিদেশযাত্রার অনুমতি চাইলেন স্বামী, সকালে না ফেরার দেশে

১৮

পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের মিছিল, এসআই ক্লোজড

১৯

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেতা

২০
X