গাজীপুরের বোর্ডবাজারে সিলিন্ডারের গ্যাসপাইপ লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তাসহ ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) মোক্তারবাড়ি এলাকায় রাত সাড়ে ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহীম হোসেন।
দগ্ধরা হলেন মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫) তিনি গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। অন্যরা হলেন মিনারুলের বাবা মো. ফরমান মন্ডল (৭৫) ও মা খাদিজা বেগম (৬৫)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে স্থানীয় কাশেম খানের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন। রোববার বিকেলে তাদের বাড়ির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পড়ে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একটি মিস্ত্রি নিয়ে এসে মেরামত করা হয়। সে সময় সিলিন্ডারের গ্যাসপাইপ লিকেজ হয়ে যায়। এতে বেশকিছু গ্যাস ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে টেকনিশিয়ান সিলিন্ডারটি মেরামত করে রান্নাঘরে লাগিয়ে দেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিনারুলের মা চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্নাঘরে থাকা মা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও তার বাবা ফরমান মন্ডল অগ্নিদগ্ধ হয়। বিস্ফোরণে ঘরের দরাজা জানালা ভেঙে গেছে। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
মিনারুলের সহকর্মী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, মিনারুল ও তার পরিবার অগ্নিদগ্ধ হবার পর বাড়ির মালিকের তেমন সহযোগিতা পাইনি। আমি নিজে বাড়ির ওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকেছি। পরে বাড়ির মালিক আমার ভিডিও নিয়েছে। পরে অগ্নিদগ্ধদের বাড়ি থেকে বের করে সুলতান জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা অপারগতা প্রকাশ করলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাইক্রোবাসযোগে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
গাজীপুরের গাছা থানার ওসি ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
মন্তব্য করুন