রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহীতে চাঁদা না পেয়ে যুবদল-ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাত

আহত দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি : কালবেলা
আহত দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি : কালবেলা

রাজশাহীর পবা উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে যুবদল এবং ছাত্রদলের দুই নেতাকে অপহরণের পর ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আহত দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দর্শনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং পবার দামকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম সরকার। দুজনই পবার দামকুড়া ইউনিয়নের শীতলাই এলাকার বাসিন্দা।

আহত ছাত্রদলের সাবেক নেতা মাসুম সরকার বলেন, যুবদল নেতা হাবিব এবং আমি দর্শনপাড়া এলাকায় একটি পুকুর খনন করি। গত বৃহস্পতিবার দর্শনপাড়া এলাকার ছাত্রদলের সাবেক নেতা জনি এবং তার সহযোগীরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরের দিন শুক্রবার বিকেলে জনি, তার সহযোগী দারুশার সুমন এবং রাজশাহী মহানগরীর রাণীদিঘির পাপ্পু এবং শ্রীরামপুর এলাকার পাপ্পুসহ ১৫/২০ জন ঘটনাস্থলে যায়।

তিনি আরও বলেন, জনির নেতৃত্বে চাঁদাবাজরা যুবদল নেতা হাবিবের ভাই মোবারক এবং ভেকুচালক দেলোয়ারকে অপহরণ করে। এরপর হাবিব এবং আমি সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে দারুশা-নওহাটার রাস্তায় অপহৃত মোবারক ও দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে যাই। এ সময় চাঁদাবাজরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।

ছাত্রদলের সাবেক নেতা বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের সময় চাঁদাবাজরা আমাকে ও হাবিবকে ছুরিকাঘাত করে। বাম হাত এবং পিঠে ছুরির ছয়টি আঘাত রয়েছে। হাবিবের পিঠে এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করে। হামলার সময় চাঁদাবাজরা আগ্নেয়াস্ত্রও প্রদর্শন করে। এ সময় পুকুর খননের কাজে খরচের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকা সাত লাখ টাকাও কেড়ে নেয় চাঁদাবাজরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনি বলেন, আহত যুবদল নেতা হাবিব আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ ছাড়া অপর আহত মাসুম আমার বড় ভাই। আমি হামলা বা অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। চাঁদা দাবির অভিযোগও ভিত্তিহীন। তাদের ওপর হামলার পরে আমি তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

কর্ণহার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পল্লবী থানা হেফাজতে জনি হত্যা : দুই পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল

গানের টিজারেই ঝড় তুললেন হৃতিক আর জুনিয়র এনটিআর

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াসে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সাফল্য 

মিরপুরে পিচ পরিদর্শনে হেমিং, চোখে পড়ল ‘পুঁই বাগান’

ত্বকের যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

তারেক রহমানের নির্দেশে বৃদ্ধ দম্পতিকে সহায়তা

আরপিও চূড়ান্তে ইসির মুলতবি সভা শুরু

আপন বোন ও তার প্রেমিককে খুন করল ভাই

শোয়েবুর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

ওমানে প্রবাসীদের জন্য রেসিডেন্স কার্ড চালু

১০

নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য দায়িত্বে থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

আবারও বড়সড় বিপদের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া

১২

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সেমিনার

১৩

সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

১৪

সাইফ-কারিনার দুই ছেলের রক্তে মিশে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫

এনইউবি–আল-আজহার যৌথ কর্মশালা: আধুনিকতা–পরাধুনিকতার কাব্যতাত্ত্বিক মানচিত্র

১৬

সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় মালয়েশিয়ায় প্রতিবাদ সভা

১৭

প্লট দুর্নীতি  / শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য আজ

১৮

ইয়ামালের জোড়া গোলে বার্সার গাম্পার ট্রফি জয়

১৯

হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার

২০
X