চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকিতে সাবমেরিন ক্যাবেল

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে চরাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা। ছবি : কালবেলা
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে চরাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা। ছবি : কালবেলা

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে চিলমারীর শাখাহাতি, কড়াইবড়িশালসহ চরাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা।

এদিকে নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতিক খুঁটি। এতে অন্ধকারে শাখাহাত, বলমৈনদিয়ার খাতা, তেলিপাড়া, চুরুয়া পাড়াসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলা সদর থেকে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ দিয়ে চিলমারী ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে জোড়গাছ বাজার থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার নদের তলদেশ দিয়ে ৩ লেনে শাখাহাতি চরের নেওয়া হয় কেবল এবং এইচ পোলের মাধ্যমে সংযোগ করে চলাঞ্চলের প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সেই সময় প্রায় ৩শ’ মিটার কেবল এইচ পোলের পাশে সংরক্ষিত রাখা হয়। চলতি মৌসুমে নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় এইচ পোল ভাঙনের মুখে পড়লে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইউপি চেয়ারম্যান তা সরিয়ে নেয়। তবে এইচ পোল সরিয়ে নেওয়া হলেও সংরক্ষিত রাখা কেবল সরাতে পারেনি।

ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, কেবল উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসীসহ তারা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত পরিদর্শনে যাননি। সরকার যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করল, আর তা রক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তিনি আর জানান, সঠিক কোনো সহযোগী না পাওয়ায় স্থানীয়দের নিয়ে কেবল উদ্ধারের চেষ্টা করছি। কেবল উদ্ধার না হওয়ায় গত দুদিন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

এদিকে সাবমেরিন কেবল উদ্ধার করা না গেলে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না সেই সঙ্গে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ চিলমারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। তবে জনবল সংকট রয়েছে আমাদের।

পল্লী বিদ্যুৎ চিলমারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ওয়াজেদুল ইসলাম জানান, সাবমেরিন কেবল উদ্ধার করা না গেলে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না সেই সঙ্গে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। ক্যাবল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে তাদের জনবল সংকট রয়েছে।

কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিলমারীর জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম জানান, আমাদের লোকজন সেখানে কাজ করছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, নদ ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি। সরেজমিন ঘুরে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোরআন অবমাননা, যা বলছেন আজহারি

তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে পদযাত্রা

ধানমন্ডিতে দরজা ভেঙে মিলল বিএনপি নেতার মরদেহ

যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের

৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি

উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিযোগিতার আহ্বান সারজিসের

সিলেটে ১ মাসে সড়কে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য: জামায়াত

আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মাতমো

নতুন পে স্কেলে কত হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের বেতন

১০

কাঠবোঝাই ট্রলি উল্টে হেলপার নিহত

১১

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হামাসের সম্মতি, স্বাগত জানাল ৮ মুসলিম দেশ

১২

বালুর ট্রাক ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৫

১৩

অহেতুক সাংবিধানিক বিতর্ক তুলে বারবার জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে : এবি পার্টি

১৪

গাইবান্ধায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১৫

কাগজের কাপে চা-কফি খাচ্ছেন? পিছু নিতে পারে ভয়াবহ যেসব রোগব্যাধি

১৬

‘কোরআন অবমাননা’ / সেই অপূর্বর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

১৭

ভারতে ছোট পোশাক পরায় মডেলদের শাসাল হিন্দু সংগঠন

১৮

বিসিবি নির্বাচন ঘিরে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ, যা বললেন বুলবুল

১৯

স্ত্রী-শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, ধানক্ষেতে পড়ে ছিল যুবকের নিথর দেহ

২০
X