পঞ্চগড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পীর ও আমির মাওলানা সৈয়দ মুফতি মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘রাজপথে বাংলাদেশের মানুষকে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আজকে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পরে সে কথা ভুলে গেল কীভাবে। বিরোধীদলে থাকতে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করেছিল। তারা ১০০ দিনের উপরে হরতাল করেছিল। আমরা সেসব ভুলিনি।’
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বোদা উপজেলা শাখার আয়োজনে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ সম্মেলনে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবি তোলেন চরমোনাই পীর। এ ছাড়া বির্তকিত ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তনের কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরের ছাত্রলীগের এক নেতা দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে বেগমপাড়ায় পাচার করেছেন। এসব টাকা কী তার বাবার নাকি দাদার। এসব টাকা তো জনগণের কষ্টে আয় করা টাকা। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে ডেকে নিয়েছিলেন। পরে তারা কথা রাখেনি। দিনের ভোটকে রাতে বাক্সে ঢুকিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে চুরির মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই বর্তমান সরকার অবৈধ সরকার কারণ জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয়নি। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখুক বাক্সে তাদের কত ভোট যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হলো দুনিয়াতে শান্তি আখিরাতে মুক্তি। দেশ স্বাধীন করতে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছর হলেও দেশ কী পেয়েছে। পাঁচবার চোরের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এইটা একটা কলঙ্ক। দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোমলমতি শিশু তাদের পাঠ্যসূচির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো আমাদের না কি আল্লাহ সৃষ্টি করেননি। আমরা না কি বানর থেকে সৃষ্টি হয়েছি। আর এই শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলো নাস্তিক হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বোদা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, সেক্রেটারি কারি মো. আব্দুল্লাহ ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মো.কামরুল হাসান প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন