ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে উপজেলার শ্যামকুড় মাদ্রাসা মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার উপজেলার ভৈরবা বাজারে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নেতাকর্মীরা। পথে শ্যামকুড় বাজার মাদ্রাসা মোড় এলাকায় পৌঁছালে তাদের সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শ্যামকুড় গ্রামের জামায়াত কর্মী আব্দুল মুন্না, আবুল কাসেম ও শ্যামপুর নিন্দাপাড়ার বিএনপির সমর্থক শরিফুল ইসলামসহ ছয়জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (৮ মার্চ) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামে জামায়াতের নারী কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন জামায়াতের নারী কর্মী হাসিনা খাতুন। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান হামলার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন। প্রতিবাদে মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক নারী সমাবেশ করতে থাকে জামায়াত। গত মঙ্গলবার দুপুরে মহেশপুর সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের নারী কর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর নারী কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সোহেল হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল হাসান মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে ও স্থানীয় বিএনপি সমর্থক।
মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ফারুক আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, বুধবার রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে সে বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উভয়পক্ষ আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করবে এমন শর্তে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
অন্যদিকে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তারা বিব্রত। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে বৈঠকে জড়িতদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। জড়িত উভয় পক্ষ আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন জানান, গত বুধবার একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। উভয় পক্ষ বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন