ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৪২ পিএম
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হলো গ্যাংকার

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হলো গ্যাংকার। ছবি : কালবেলা
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হলো গ্যাংকার। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ভারত সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হয়েছে ‘গ্যাংকার’। বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত ইঞ্জিন ‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টায় আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে একটি হপার (পাথরবাহী বগি) নিয়ে রওনা হয়ে সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছে।

এ সময় গ্যাংকারে করে প্রকল্প পরিচালসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মূলত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।

এ সময় ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড (বাংলাদেশ) শরৎ শর্মা বলেন, রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেছে। এর ওপর গাড়ি চলা শুরু হয়েছে। আমাদের কাজ ছিল রেলপথ নির্মাণ করা, আমরা করেছি। স্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ। যত দ্রুত সম্ভব মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। দুই দেশের সরকার এর উদ্বোধন করবে।

প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা আজকে কাজের অগ্রগতি দেখতে গ্যাংকার দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত এসেছি। শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিল্ডিংয়ের কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি আছে। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান করতে পারব। যাতে পরবর্তীতে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা যায়।

তিনি বলেন, মূলত ট্র্যাক কন্ডিশন দেখার জন্য গ্যাংকার নিয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এসেছি। ট্র্যাক ঠিক আছে কিনা, এলাইনমেন্ট ঠিক আছে কিনা। বুধবার রেল ভবনে একটি সভা হবে। সভায় উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১২.২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ৬.৭৮ কিলোমিটার রেলপথ। বাংলাদেশের অংশের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলওয়ের সঙ্গে এ রেলপথ সংযুক্ত হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে বলা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক, আইডাব্লিও মিঠুন সরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিয়াউর রহমান অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন : চসিক মেয়র

কর্মসংস্থান তৈরিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

অনির্দিষ্টকালের অনশন কর্মসূচিতে সুমুদ ফ্লোটিলার আটক অভিযাত্রীরা

১০০ আসনে প্রার্থী দেবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি 

৭০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করল লালমনিরহাট যুবদলের নেতাকর্মীরা

‎প্রেম করে বিয়ে, বউকে ঘরে তোলা হলো না খালেকের

অর্থহীনের নতুন গান ‘উন্মাদ’

মিউনিখ বিমানবন্দরে রহস্যজনক ড্রোন, আতঙ্কে ফ্লাইট বাতিল

গর্ভাবস্থায় কী খাবেন, কী খাবেন না? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

১০

শাপলা প্রতীক বরাদ্দ প্রশ্নে এনসিপির ব্যাখ্যা

১১

১২ ঘণ্টা পর ফেসবুক পেজ ফেরত পেল ইসলামী ব্যাংক

১২

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গুলতেকিন খানের বিস্ফোরক পোস্ট 

১৩

গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা আটক, জমিয়তের তীব্র নিন্দা

১৪

রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

১৫

গহিন পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৩৮ জন উদ্ধার

১৬

ভূমিকম্পে কাঁপল ইরানের পারমাণবিক শহর

১৭

টানা পাঁচ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৮

হিন্দুরা কোনো দলের সম্পত্তি নয় : মোশাররফ

১৯

আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত ডাকসু নেতাদের 

২০
X