জেলখানায় থেকেও সিরাজগঞ্জের একটি অস্ত্র মামলার আসামি হয়েছিলেন এস এস আল হোসাইন সোহাগ নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা। তদন্তের পর পুলিশ তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দিলেও স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কুষ্টিয়ায় পতিত আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট সরকারের সাবেক দুই প্রভাবশালী নেতার রোষাণলে পরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। সোহাগ কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ বলেন, সিরাজগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহারে শুধু সোহাগ নাম উল্লেখ করা রয়েছে, বাবার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ ছিল না। সোহাগ নামে ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আছে। সে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রভাবশালী এমপি মাহবুবুল আলম হানিফের অস্ত্রধারী ক্যাডার হওয়ার সুবাদে সেই যুবলীগ নেতা সোহাগের স্থলে আমাকে আসামি করে উদোর পিন্ড বুদোর ঘারে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অন্যতম দোসর জাসদের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আমি রাজপথে সক্রিয়া থাকায় বারবার আমাকে রোষানলে পড়তে হয়েছে। ২০২৩ সালের ২ জুলাই আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। মূমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হই। এ ঘটনায় ১৩ জুলাই আমার স্ত্রী বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।
সোহাগ আরও বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে একটি হত্যা মামলায় আমাকে জড়ানো হয়। ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক আমাকে কারাগারে পাঠান। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই ২০২৪ সালের ৫ মার্চ আমি জানতে পারি সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফের নির্দেশে এই অস্ত্র মামলায় আমাকে জড়ানো হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তারপরও চার্জশিটভুক্ত মূল আসামি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. রায়হান শরিফের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসররা আমাকে হয়রানি করছে। সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে পুলিশের চার্জশীটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সংবাদ করানো হয়েছে
সংবাদ সম্মেলনে ভেড়ামারা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব রুবেল ও ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ালিউল ইসলাম ওলি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন