ঢাকার ধামরাইয়ে ঘুষ না পেয়ে যুবককে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় থানার এক পুলিশ পরিদর্শকের (এসআইয়ের) বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ধামরাই থানার এসআই। অন্যদিকে ভুক্তভোগী যুবকের নাম জসীম উদ্দিন। জসীম ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের মারাপাড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও এসআইয়ের বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা ৩টায় মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত ১০ জুন রাতে এসআই দেলোয়ার হোসেনের সোর্স একই থানার বেলীশ্বর গ্রামের সোহেল রানা ভুক্তভোগী জসীমের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। পরে পার্শ্ববর্তী খোরশেদ আলমের ইটভাটায় রাত ২টা পর্যন্ত আটকে রাখেন এবং তার পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
ঠিক পরদিনই বিকেল ৫টার দিকে ধামরাই থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ফের জসীমকে আটক করেন।
পরে এসআই দেলোয়ার জসীমকে নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করেন এবং ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে তার পরিবারের কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে পরিবার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে জসীমকে রাত ১১টায় থানায় নেওয়া হয়।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে এসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এসআই টাকা নিয়ে থানায় যেতে বলেন। রাতেই জসীমের বাবা নূর মোহাম্মদ আলী, মামা মো. শাহিন আলম, মানিকগঞ্জ নিম্ন আদালতের আইনজীবী মো. মানিক মিয়া ধামরাই থানায় যান। তবে টাকা দিতে না পারায় জসীমকে ছেড়ে না দিয়ে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাবার কথা বলে মামলা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে আইনজীবী মো. মানিক মিয়া, মো. শাহীন আলম, নূর মোহাম্মদ আলী, আব্দুল রশীদ মাতবর, চাঁন মিয়া ওরফে চাঁমাল মাতবর, মো. ইউসুফ আলী মাতবর ও মো. সানোয়ার হোসেন মাতবর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এ আর নতুন কি। এতে পুলিশের কিছুই যায় আসে না। আমি জসীমকে গ্রেফতার করেছি এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আদালতের। এতে আমার আর বলার কিছুই নেই।
মন্তব্য করুন