রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

পুঠিয়া থানা। ছবি : সংগৃহীত
পুঠিয়া থানা। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের সাড়ে ৪ মাস পর চিকিৎসাধীন এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ভাতিজা আবু হানিফ সুজা।

ওই নেতার নাম অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু (৬৮)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই। অলিউজ্জামান পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অলিউজ্জামানের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল।

আবু হানিফ জানান, বিকেল ৪টার দিকে তার চাচার মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে তারা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তার চাচাকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের পর থেকে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নির্যাতনের পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে তাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে যান অলিউজ্জামান। এরপর ২ জানুয়ারি রাতে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। ৪ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তিনি পাশের মাইপাড়া বাজারে চা পান করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিএনপির লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর নিয়ে যান। সেখানে সড়কের পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তাকে পেটানো হয়। পিটিয়ে তার দুটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে লোক মুখে শুনেছেন জানিয়ে অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ সে সময় বলেছিলেন। হামলার ব্যাপারে তখন মিঠুন বলেছিলেন, যাঁরা অলিউজ্জামানকে মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন আহসান, সীমান্তও ঘটনাস্থলে ছিল না।

অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ বলেন, ‘ওই নির্যাতনের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। পরে কোনো সুযোগ হলে আদালতে মামলা করা হবে।’

তবে পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ওই ঘটনার পর পরিবারের কেউ মামলা করেনি।’

অলিউজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘এখনও আমি এটা শুনিনি। দেখি, খোঁজখবর নেই।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যশোর শিক্ষাবোর্ডে প্রশ্নফাঁস / নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, কেন্দ্রস‌চিবসহ ছয় জন‌কে অব্যাহতি

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে দায়ী করা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র : আমিনুল হক

ময়মনসিংহে দুই শিশু নিখোঁজ, মুক্তিপণ না পেয়ে একজনকে হত্যা

যশোরে বন্ধুর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

ইইউতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা

নির্বাচন কেন্দ্র করে সংকট তৈরির ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ফারুক

সকালের মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ঝড় হতে পারে

সোহাগ হত্যায় কীভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় জানাল ডিএমপি

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

বোমাবাজি করে বিএনপিকে দমানো যাবে না: রিজভী

১০

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বন্ধ সড়ক, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ 

১১

তরুণ প্রজন্ম কোন নির্বাচনী ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না : নাহিদ

১২

ফেনীর বন্যা ঠেকাতে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

১৩

কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো

১৪

জিপিএ ৫ না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের মেয়ের আত্মহত্যা

১৫

মিটফোর্ডের নৃশংসতা সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ : সাকি

১৬

কমোডে ফ্ল্যাশ করে স্ত্রীর লাশ গুমের চেষ্টা, স্বামী গ্রেপ্তার

১৭

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত

১৮

মহাসড়ক তো নয়, যেন মহাযন্ত্রণা

১৯

মিটফোর্ডের সামনে হত্যাকাণ্ড / সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

২০
X