বরিশাল-গৌরনদী-ভায়া খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মালিক সমিতির বিরুদ্ধে। এতে ওই রুট দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গৌরনদী-খুলনা রুটে চলাচলকারী পরিবহন মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক চালু হওয়ার পর থেকে রুটটি ব্যবহার করে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলার যাত্রীরা কম সময়ে গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোরে যাতায়াত করত। এই রুটে বিআরটিসি, চাকলাদার, সেভেন ডিলাক্স, সেভেন স্টারসহ কমপক্ষে ১২টি পরিবহনের বাস যাত্রী সেবা দিয়ে আসছিল। গত একমাস ধরে সড়কটি দিয়ে কোনো পরিবহন যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজিব পরিবহনের সুপারভাইজার সাগর হোসেনসহ একাধিক গাড়ির সুপারভাইজার-চালকরা অভিযোগ করে বলেন, গৌরনদী ভায়া গোপালগঞ্জ সড়ক দিয়ে খুলনা-যশোরগামী যাত্রীরা স্বল্প সময়ে নিরাপদভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারত। গত এক মাস যাবত গৌরনদী ভায়া গোপালগঞ্জ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে বরিশাল বাস মালিক সমিতির লোকজন। যে কারণে কোনো পরিবহন এই রুট ব্যবহার করে যেতে পারছে না। ফলে টেকেরহাট হয়ে খুলনা-যশোর যেতে হচ্ছে তাদের। এতে এক দিকে যেমন যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে, অপরদিকে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে।
একাধিক যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, মালিক সমিতির খামখেয়ালিপনা ও হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। মালিক সমিতির দায়িত্বজ্ঞানহীন এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
সেভেন ডিলাক্স পরিবহনের মালিক ওবায়দুল হক অভিযোগ করে জানান, বিগত ২০০৯ সাল থেকে বরিশাল ভায়া-গৌরনদী-গোপালগঞ্জ সড়ক দিয়ে তার পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের বাস চলাচল করে আসছে। এতদিন কোনো সমস্যা না হলেও গত একমাস ধরে এই রুটে সব পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতির লোকেরা। এতে এক দিকে যেমন যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে, অপরদিকে সময় ও তেল অপচয় হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিকবার মালিক সমিতির সঙ্গে দেনদরবার করেও সুরাহা পাচ্ছি না।
পরিবহন চলাচলের জন্য কোনো চাঁদা চাওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়েই রয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন বলেন, লোকাল যাত্রী পরিবহন করার দায়ে রুটটি বন্ধ করা হয়েছে।
রুট বন্ধের ক্ষমতা মালিক সমিতির রয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি মালিক সমিতির অফিসে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিআরটিএ -এর বিভাগীয় পরিচালক জিয়াউর রহমান কালবেলাকে বলেন, রুট বন্ধ করার ক্ষমতা বাস মালিক সমিতির নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন