স্বজনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে ঘরে ফিরছে উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। ফলে যমুনা সেতু পশ্চিম সড়কসহ উত্তরের মহাসড়কে গাড়ির চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ গুণ বেড়েছে। তবে যমুনা সেতু থেকে শুরু করে রংপুরগামী সড়কে সম্পূর্ণ চারলেন সুবিধা চালু হওয়ার কারণে স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন।
শুক্রবার (০৬ জুন) সকাল থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের সেতুর গোলচত্বর, সয়দাবা, মুলিবাড়ি, কড্ডার মোড় ও নলকা এলাকায় হাজার হাজার যানবাহনের চাপ দেখা যায়। মানুষ বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলযোগে ফিরছে। কোনো ধরনের যানজট বা ধীরগতিও লক্ষ্য করা যায়নি। তবে যমুনা সেতুর গোলচত্বর এলাকায় ঢাকামুখী লেনে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে স্বাভাবিকের তুলণায় ৪ গুণ বেশি যানবাহন চলাচল করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতু দিয়ে প্রায় ৬৪ হাজারেরও বেশি গাড়ি চলেছে, টোল আদায় হয়েছে সাড়ে ৪ কোটিরও বেশি টাকা।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উত্তরবঙ্গগামী লেনে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। একদম স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলছে। তবে ঢাকামুখী লেনে কিছুটা চাপ রয়েছে টোল প্লাজার কারণে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, আমরা স্বাভাবিকভাবে সেতুর দুই প্রান্তে ৬টি করে মোট ১২টি বুথে টোল আদায় করি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামলাতে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে।
সাসেক রোড কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, চারলেন মহাসড়কের ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় চারলেন সুবিধা পাচ্ছে যাত্রীরা।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনও এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে পুলিশ। যানজট ছাড়াও মহাসড়কে ডাকাতি, ছিনতাইসহ যে কোনো অপরাধ দমনে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন