ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে সিলেটে পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণে কাজ করছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১৩০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করেন তারা। রাত ৮টার মধ্যেই পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
সিসিকের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বর্জ্যবাহী ট্রাক দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে আসা-যাওয়া করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৪৩টি ওয়ার্ডে একটি করে ট্রাক বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত আরও ৬০টি ট্রাক নগরজুড়ে চলাচল করছে। এর আগে কোরবানির পশুর বর্জ্য প্রতিটি ওয়ার্ডের কোথায় ফেলা হবে সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা। যার কারণে খুব বেশি প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে না সিসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন বলেন, ঈদের নামাজের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার কারণে আমাদের শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েক ট্রাক বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে বর্জ্য অপসারণ করা যায় সে লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ট্রাক বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ৬০টি ট্রাক নগরীর সার্বক্ষণিক চলাচল করছে। আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে রাত ৮টার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে, শনিবার সকালে ঈদের নামাজের পর থেকে সিসিকের কর্মীদের কাজ শুরু করতে দেখা যায়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্লিচিং পাউডারসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী, কোদাল এবং পানিবাহী বিশেষ ধরনের গাড়ি ব্যবহার করতেও দেখা গেছে। তাছাড়াও পশুর হাটের বর্জ্যও অপসারণে কাজ শুরু করেন তারা।
মন্তব্য করুন