গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘এখন অনেকেই বিকাশ নুর বলে অনলাইনে কটাক্ষ করে গালি দেয়। আমরা যেহেতু রাজনীতি করেছি, আমাদের দল থেকে এখনো কেউ এমপি-মন্ত্রী হয়নি। আমাদের টাকাটা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরাই দিয়েছেন। বাস্তবে সেই সহযোগিতার বড় অংশটাই করেছেন বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদলের লোকেরা। কারণ তারা তখন চিপায় ছিল।’
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবের উপজেলার ছাত্র অধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আজ ডাকসু না হলে, ’১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে আজকে এই আসিফ, নাহিদ, এই উপদেষ্টা- এই ছাত্রনেতাদের অনেকেই তৈরি হতো না। এই গণঅভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের বড় একটা অংশ যাদের নার্সিং করেছি, পৃষ্ঠপোষকতা করেছি।
তিনি বলেন, যে ছাত্র সংগঠনের আমার রাজনৈতিক জন্ম হয়েছে। যেই সংগঠনের মাধ্যমে আজ আমি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি হয়েছি। এইটুকু পরিচয়ের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদকে সীমাবদ্ধ করে রাখার সুযোগ নাই। এটা বলতে হবে, ছাত্র অধিকার পরিষদের যদি জন্ম না হতো বাংলাদেশে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না।
তিনি আরও বলেন, আমি একটা ছাত্র সংসদের ডাকসু ভিপি হিসেবে গণভবনে গেলেই কী- না গেলেই কী। বরঞ্চ আমরা যে কৌশলে রাজনীতি করেছি, তাতে আপস করিনি। নৈতিকতা বিসর্জন দেইনি। বিবেককে বিক্রি করিনি। ন্যূনতম যতটা সুযোগ আমরা পেয়েছি, দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ব্যবহার করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করেছি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমার ছাত্রদের জন্য যদি কিছু করতে হয় অবশ্যই তা আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি আমার অন্য কৌশলে থাকতে হবে। আমরা গণভবনে গেছি সেই ভিডিও নিয়ে এখন ট্রল হয়। শেয়ার করে অনেকে লেখেন ‘দেখেন যা ভালো মনে করেন’। আরে ভাই এই অল্প বয়সে যে ভূমিকা রেখেছি তোমাদের চৌদ্দগোষ্ঠী- চৌদ্দ পুরুষের সেই ভূমিকা রাখে নাই। আজকে ভিপি নূরের জন্ম না হলে, ছাত্র অধিকার জন্ম না হলে, ডাকসু নির্বাচন না হলে আজকে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এই বাংলাদেশে হতো না।
এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা সভাপতি আরিফ বিল্লার সভাপতিত্বে জেলা-উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও গণঅধিকার পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন