দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৪ জুন) রাতে নিহতের স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়। তিনি আলীরটেক ইউনিয়নের মৌলবী বাড়ির মৃত হাজী মারফত আলীর ছেলে। সেখানে তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা বসবাস করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের প্রতিবেশী ও চাচা আবুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, নিহত ইকবাল সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। আমার বাড়ির পাশে তাদের বাড়ি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে ইকবাল বসবাস করছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছুদিন আগে ইকবালকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে হত্যা করা হয়। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের ভগ্নিপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ইকবাল দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাস জীবন যাপন করছেন। গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে তার নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ৪ জন তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার দুই দিন পরে ইকবালের স্ত্রীকে ফোন করে দুর্বৃত্তরা সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) মুক্তিপণ দাবি করে। তবে ইকবালের পরিবারের স্বজনরা এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা কমিয়ে এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু ইকবালের পরিবারের লোকজন এই টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। পরে ১২ জুন আফ্রিকার কুইন্স টাউনের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন