মিজানুর রহমান, সদরপুর (ফরিদপুর)
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাড়ছে পানি, পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী জনপদ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিবেশ বিরাজ করছে। ছবি : কালবেলা
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিবেশ বিরাজ করছে। ছবি : কালবেলা

বর্ষা এলেই পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে, আর সেই সঙ্গে তীরবর্তী মানুষদের মনে ফিরে আসে চিরচেনা আতঙ্ক- নদীভাঙন। বছরের পর বছর ধরে নদীর তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিবেশ বিরাজ করছে। যদিও এখনো বড় ধরনের ভাঙন শুরু হয়নি, তবে অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের নুরুদ্দীন সরদার কান্দি, আব্দুল হামিদ জঙ্গির কান্দি, আলেফ সরদার কান্দি ও জব্বার শিকদার কান্দি- এই গ্রামগুলো ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী, ছলেনামা ও আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামের প্রায় ১১০টি পরিবার নদী ভাঙনের আতঙ্কে দিন পার করছে।

দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের নুরুদ্দীন সরদারকান্দি গ্রামের এক বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছরই নদীভাঙনের শিকার হচ্ছি। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি সব নদীতে চলে যাচ্ছে। আমরা চাই আগেভাগে টেকসই নদী শাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আকোটের চর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এই সময় এলেই আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পানি বাড়লেই ভাঙন শুরু হবে। সরকার আমাদের থাকার জায়গা দিয়েছে, এই ঘরবাড়িই এখন আমাদের শেষ সম্বল। এটাও হারালে আর কিছু থাকবে না।

আকোটের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, নদীভাঙন এখন আর হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো দুর্যোগ নয়, এটি একটি বার্ষিক দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা বারবার জানিয়েছি। তারা এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, নদী ভাঙনের ফলে এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে না। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় নদী শাসনের টেকসই ব্যবস্থা প্রয়োজন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। আমরা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছি। খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে ঝুট গুদামে ভয়াবহ আগুন

ছাত্রীদের ‘আপত্তিকর’ প্রস্তাব দেওয়া সেই অধ্যক্ষকে ওএসডি

যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কোম্পানির ওপর চীনের বড় পদক্ষেপ

একদিনে ৭০ নতুন কমিটি দিল ছাত্রদল, ৩টি বিলুপ্ত

শুরুতেই হোঁচট খেয়ে চাপে বাংলাদেশ

উচ্চতর কমিটির সাদাপাথর পরিদর্শন, সিলেটে পর্যটন নিয়ে মহাপরিকল্পনা

রাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, ক্লাসে ফেরার ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

হাইকোর্টে রিট করলেন ১৭ বিয়ে করা সেই বন কর্মকর্তা

সরানো হলো রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে 

ব্যালট পেপার ইস্যুর জবাব দিল ডাকসু নির্বাচন কমিশন

১০

রায়পুরায় কৃষক দলের নতুন কমিটি গঠন

১১

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপার অভিযোগ তদন্ত করছে কমিশন

১২

‘হেই থাক্কাইকা বাজারে আইতারি না, ঘরবৈঠক আমি’

১৩

ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে আইএইচটিতে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

১৪

ইউএনডিপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বরিশাল আদালত পরিদর্শন

১৫

শজিমেক ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা

১৬

ছাত্রদল নেতা ইমরান মিথুনের মানবিক উদ্যোগ

১৭

অশান্তির আগুন নেভাতে হাতপাখার বাতাস লাগবে : চরমোনাই পীর

১৮

ফারহানের উইকেট নিয়েই তাসকিনের ‘সেঞ্চুরি’

১৯

শুক্রবার সিলেটে বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

২০
X