

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সংবেদনশীল তথ্য পাচারের ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমান ও অফিস সহকারী মো. আশরাফুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড গত ৩ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা জারি করে উভয় কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটি ৩১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। প্রতিবেদনে উভয়ের বিরুদ্ধে দপ্তরের গোপন নথি সংগ্রহ ও পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, অফিস সহকারী আশরাফুল ইসলামের যোগসাজশে নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ওই দপ্তরের গোপন নথি সংগ্রহ করেন।
এ ঘটনাকে ‘চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা চালু করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করে আসছে এবং অভিযুক্তরা এ চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই মিজানুর রহমান প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের শোকজ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন