সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি (তরলকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় গত দুদিন ধরে মিলছে না গ্যাস সরবরাহ। শিল্প কলকারখানাগুলোতেও এই সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুর থেকে নগরীর শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আর বাসা বাড়িতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই সংকট দেখা দিয়েছে গ্যাস সরবরাহে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় থাকায় এখন বঙ্গোপসাগর উত্তাল অবস্থায় আছে। সাগরের ঢেউয়ের কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল থেকে সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। গৃহস্থালির পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, শিল্প কারখানা, সিএনজি স্টেশন, হোটেল-রেস্টুরেন্টেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
আকস্মিক গ্যাস সংকটের কারণে গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক- উভয় খাতের গ্রাহকেরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নগরীর আসকার দিঘির পাড়ের বাসিন্দা সিতারা আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সকাল থেকে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। প্রেসার একেবারে কম। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিল না। সকালেও দেখি গ্যাস নেই।’
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার দুপুর থেকে গ্যাসের চাপ নেই। আজকেও (বৃহস্পতিবার) একই অবস্থা। প্রোডাকশনে খুব প্রভাব পড়ছে।’
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল আজম খান বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় মহেশখালীতে এলএনজিবাহী জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে আমরা প্রতিদিন ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট পেতাম, সেটা এখন ১৬০-১৭০ এ নেমে এসেছে। এজন্য সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। আজ বিকেল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল ছাড়া বিকল্প কোনো উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহের সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন