বান্দরবানে চেক প্রতারণার মামলায় জেলার এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মো. শহিদুর ইসলামকে (সোহেল) তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুগ্ম জেলা দায়রা ও জজ আদালত। একইসঙ্গে সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী অরুণ বিকাশ তলুকদার। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের বিচারক মো. নুরু মিয়া এ রায় দেন।
তিনি জানান, চেক প্রতারণা মামলায় এনসিপি নেতা সোহেলকে তিন মাসে কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শহিদুল ইসলাম (সোহেল) পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি নবগঠিত এনসিপির বান্দারবানের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে আছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে শহিদুর রহমান সোহেল অভিযোগকারী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের কাছ থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ধার নেন। নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ না করায় ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি বান্দরবান পৌরসভা মার্কেট ভবনে এক সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সোহেল অভিযোগকারীকে ইউসিবি ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করেন।
তবে অভিযোগকারী তিন দফায় চেকটি ইউসিবি ব্যাংকে উপস্থাপন করলেও শহিদুর রহমান সোহেলের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় প্রতিবারই চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে একাধিকবার টাকা ফেরতের জন্য অনুরোধ করা হলেও আসামি কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় অভিযোগকারী আইনের আশ্রয় নেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, টাকার ফেরত দেওয়ার কথা বলে অভিযোগকারীকে ভুয়া চেক ধরিয়ে দেন আসামি। পরে তিনবার ব্যাংকের চেক জমা না হলে চেক প্রতারণা মামলায় আসামিকে তিনমাসের কারাদণ্ড রায় দেন আদালত।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খলিল জানান, টাকা ফেরত না দেয়ায় আসামিকে নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক বসেছিল। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চেক প্রতারণা আইনে মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ মামলা দায়ের করেন। গত মাসে ২৬মে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের বিচারক আভিযোগকারীকে সমপরিমাণ অর্থ ফেরত ও ৩ মাসে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
মন্তব্য করুন