রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আ.লীগ নেতা এখন বিএনপির বড় পদে

আব্দুল মান্নান মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
আব্দুল মান্নান মিয়া। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মিয়া এখন একই ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজিত এক সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সির উপস্থিতিতে তাকে এই পদে মনোনীত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার, উপদেষ্টা আব্দুল মালেক, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমিন মেম্বারসহ স্থানীয় নেতারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী বলেন, আমরা যারা মাঠে থেকে হামলা-মামলা সহ্য করেছি, তাদের বাদ দিয়ে অতীতে আওয়ামী লীগে থাকা একজন ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এটা দলের ত্যাগীদের প্রতি অবিচার। যাদের দ্বারা একসময় আমরা নিপীড়নের শিকার হয়েছিলাম, তারাই এখন আমাদের সংগঠনের নেতা। এতে শুধু আত্মসম্মানই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, সাধারণ মানুষের কাছেও দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, বিএনপিতে এমন অনেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা রয়েছেন, যারা প্রকৃত অর্থেই নেতৃত্বের যোগ্য। কিন্তু বারবার বিতর্কিত ও দলবদলকারী ব্যক্তিদের শীর্ষ পদে বসানোয় মাঠপর্যায়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

মেঘনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গাফফার বলেন, ওই দিন সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমরা তো বুঝতে পারিনি আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নানকে সভাপতি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরে আমরা শোনার পর ইউনিয়ন কমিটিকে বলেছি কমিটি বাতিল করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, এই কমিটি করার জন্য যে প্রস্তাব করেছে বা সুপারিশ করেছে তাকেও সাংগঠনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের লোক দিয়ে কোনো কমিটি করা যাবে না।

এ বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান মিয়াকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল অদুদ মুন্সি বলেন, আমরা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছিলাম। তখন কেউ বলেনি যে ওই লোক আওয়ামী লীগ করে। আরও তিনজন প্রার্থী হয়েছিল। তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পদ দেওয়া হয়নি। ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের বলেছি কমিটি বাতিল করার জন্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

এনসিপির কর্মকাণ্ডে ফিরছেন সারোয়ার তুষার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে ছাত্রদলের নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

হাওর ও চরাঞ্চলের শিক্ষক বদলির তদবির আসে ওপর থেকে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১০

জয় স্যুটকেস ভরে টাকা নিয়ে গেছে : হাবিব-উন-নবী সোহেল

১১

২৫ বছর ধরে বাঁশির মায়ায় আটকে আছে শফিকুলের জীবন

১২

একাত্তরেও আ.লীগ পালিয়েছে, এবারও পালিয়ে গেছে : টুকু

১৩

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু, শেষ হচ্ছে কবে

১৪

তিন দিনের মধ্যে সাদাপাথর ফেরত না দিলে ব্যবস্থা

১৫

উগান্ডার সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি, জানা গেল নেপথ্য কারণ

১৬

ইসহাক দারের সঙ্গে কী আলোচনা হলো বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির

১৭

মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু রোববার : রাকসু ট্রেজারার

১৮

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৯

পাথরের জন্য মাইকিং, ডেডলাইন ২৬ আগস্ট

২০
X